সন্তান গর্ভে নিয়েই হত্যায় অংশ নেয় মণি

ফেনী প্রতিনিধি |

মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা করতে পাঁচ মাসের গর্ভের সন্তান নিয়েই ‘কিলিং মিশনে অংশ নেয় মামলার আসামি কামরুন্নাহার মণি। শনিবার ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় ফেনীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিন আহমেদের আদালতে মণি এ জবানবন্দি দেন। পাশাপাশি রোববার একই আদালতে আরেক আসামি জোবায়ের জবানবন্দিতে বলেছেন, সে নিজেই ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়ে রাফির শরীরে আগুন দিয়েছে।

এই দুই আসামির জবানবন্দি শেষে শনি ও রোববার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রামের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

এদিকে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া মামলায় সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে আজ (মঙ্গলবার) জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় অবৈধ অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে তদন্ত দল। তাই অবৈধ অর্থের উৎস খতিয়ে দেখতে রোববার সোনাগাজীর বিভিন্ন ব্যাংক পরিদর্শন করেছে পিবিআই। এদিন দুপুরে পুলিশ পিবিআই চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবালের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল ব্যাংকগুলোতে গিয়ে মামলার আসামিদের ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখে। এরপর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সোনাগাজীতে অবস্থিত জনতা এবং ইসলামী ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংক পরিদর্শন করেছি। জেলা শহরের কয়েকটি ব্যাংকেও ঘাতকদের হিসাব রয়েছে। এসব অ্যাকাউন্টও খতিয়ে দেখা হবে। এ সময় চট্টগ্রাম পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মঈন উদ্দিন, নোয়াখালী পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাসু দত্ত, পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. জাহিদুর রহমানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ফেনী প্রতিনিধি জানান, রোববার ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিন আহমেদের আদালতে ১৬৪ ধারার এ জবানবন্দি দেয় জোবায়ের। এদিন সকাল ১০টায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়। বেলা ৪টা পর্যন্ত তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। জবানবন্দি রেকর্ড করার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রামের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

জোবায়েরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, মাদরাসার সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে ম্যাচের কাঠি দিয়ে নুসরাতের গায়ে আগুন ধরায় জোবায়ের। রাফিকে ছাদে ডেকে নিয়ে যায় পপি। সেখানে আগে থেকেই আমি (জোবায়ের) অপেক্ষা করছিলাম। আমার সঙ্গে ছিলেন মণি, পপি, শাহাদাত ও জাবেদ। রাফি ছাদে এলে আমরা তাকে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিতে চাপ দিই। এতে রাফি রাজি না হলে তার হাত-পা বেঁধে ছাদে শুইয়ে ফেলি। এরপর রাফির পা চেপে ধরেন পপি, মুখ চেপে ধরেন শাহাদাত, মণি বুক চেপে ধরেন, জাবেদ কেরোসিন ঢালেন এবং আমি (জোবায়ের) দিয়াশলাই দিয়ে গায়ে আগুন ধরাই।

সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি জানান, শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিন আহম্মদের আদালতে মণিকে হাজির করে করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। প্রায় ছয় ঘণ্টাব্যাপী জবানবন্দি রেকর্ডের পর রাত ১০টার দিকে তাদের জবানবন্দির ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পিবিআইর পুলিশ সুপার মো. ইকবাল।

তিনি বলেন, নুসরাত জাহান রাফি হত্যার কিলিং মিশনে সরাসরি জড়িত ছিল কামরুন নাহার মণি। নুসরাতের বুকসহ শরীর চেপে ধরেন এবং তিনি বোরকা ব্যবস্থা করে দেন। রাফির পায়ে বেঁধে চলে যাওয়ার সময় মণি তাকে শম্পা বলে ডাকে। মণি আরও জানিয়েছে, বর্তমানে সে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

তিনি আরও বলেন, কয়েক ঘণ্টাব্যাপী এ স্বীকারোক্তিমূলক জবাবনন্দিতে মণি হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে আরও চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য দিয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তা উল্লেখ করেননি এই কর্মকর্তা।

এদিকে, জবানবন্দি গ্রহণ শেষে জোবায়েরকে ফেনী কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এর আগে তাকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পিবিআই। আসামি নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীমের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উঠে আসে জোবায়েরের নাম। আরেক আসামি শামীম বলেছে, নুসরাতকে মেঝেতে শুইয়ে ফেলার পর রাফির ওড়না দুই টুকরো করে জোবায়ের তার (রাফির) হাত ও পা বেঁধে ফেলেন।

গত ৬ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজীতে মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি আলিম পরীক্ষা দিতে যান। পরীক্ষার আগে তাকে কৌশলে ছাদে ডেকে নিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নুসরাত মারা যান। সরাসরি কিলিং মিশনে অংশ নেয় পাঁচ জন। তারা হল- শাহাদাত হোসেন শামীম, জোবায়ের হোসেন, জাবেদ হোসেন, কামরুন নাহার মণি ও উম্মে সুলতানা পপি। এ ঘটনায় ৮ এপ্রিল রাতে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন অগ্নিদগ্ধ রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।

এ হত্যাকাণ্ডে এখন পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনসহ ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত ৮ আসামির সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার ১৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পিবিআই। এদের মধ্যে ৮ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা হলেন- শাহাদাত হোসেন শামীম, নুর উদ্দিন, আবদুর রহীম শরিফ, হাফেজ আবদুল কাদের, উম্মে সুলতানা পপি, সাইফুর রহমান জোবায়ের, জাবেদ হোসেন ও কামরুন নাহার মণি।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া মামলায় ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে আজ (মঙ্গলবার) জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। রাতে পিবিআইর একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছে, আজ সকালে তাকে পিবিআই সদর দপ্তরে আসতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি ওসির দুটি মোবাইল সেটও জব্দ করা হবে।

রাফির মৃত্যুর পর এ ঘটনায় ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন সোনাগাজী থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাইবার ক্রাইমস ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলার তদন্ত ভার দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইকে। পিবিআই বলছে, মামলার তদন্ত চলছে। বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি রীমা সুলতানা ফেনী যাবেন। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ মামলার তদন্তে অন্য কাজগুলো করবেন।

পিবিআই প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার সোমবার সন্ধ্যায় বলেন, এ মামলার বাদী যেসব অভিযোগ করেছেন, প্রত্যেকটি অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। যেহেতু পিবিআই নারীবান্ধব সংস্থা, আর নুসরাত জাহান রাফি একজন মেয়ে, আমি এইসব বিবেচনা করে নারী এএসপিকে রীমা সুলতানাকে মামলাটির তদন্তের ভার দিয়েছি। সে তদন্ত শুরু করেছে। তবে গত কয়েকদিন ফেনীতে একের পর এক আসামিদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান শুরু হয়েছিল।

এ কারণে আমি তাকে সেখানে যেতে বলিনি। কারণ ওই সময় সেখানে গেলে আমাদের লোকজন যে সাপোর্ট দেয়ার কথা, সেই সাপোর্ট তারা তাকে দিতে পারবে না। এ কারণে তাকে যেতে বলিনি। ডিআইজি বলেন, সে (এএসপি রীমা সুলতানা) বুধবার ফেনীতে ঘটনাস্থলে যাবে এবং এই মামলার বাদীর সঙ্গে এরই মধ্যে সে কথা বলেছে। পিবিআই প্রধান বলেন, এ মামলায় সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা রক্ষা করে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছি। আমি তাকে (রীমা সুলতানা) বলেছি যে পিবিআই নারীবান্ধব তদন্ত সংস্থা। সে নিজেও একজন নারী। সুতরাং ভিতরগত দিকটিও যেন সে খেয়াল রাখে। আমরা তদন্তে যা পাব, যা সত্য, তাই আদালতকে জানাব।

এদিকে, যোগাযোগ করা হলে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার বাদী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা আমাকে ফোন করেছিলেন। আমি বলেছি, মামলার তদন্তে আপনার তথ্য-উপাত্ত সংক্রান্ত যে ধরনের সহযোগিতা লাগে, আমি সব সহযোগিতা করব।

রাফির বানানো হালুয়া-রুটি খাওয়া হল না নোমানের : রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের বোনটি আর বেঁচে নেই, খুনিরা তাকে বাঁচতে দেয়নি। পুরো পরিবারের মধ্যমণি ছিল আমাদের বোনটি। সবার নয়নের মণি ছিল রাফি। প্রতি বছর শবে বরাতের রাতে সে সবার জন্য হালুয়া-রুটি বানাত। সুস্বাদু খাবার রান্না করত। সবাইকে নিয়ে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে রাতটা পার করত। সুরেলা কণ্ঠে কোরআন তিলাওয়াত করত। কিন্তু এবার শবে বরাতের আগেই ঘাতকরা কেড়ে নিল তাকে।

বিভিন্ন সংগঠনের বিক্ষোভ : রাফি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ফেনীতে সোমবার বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন জেলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। সোমবার সকালে দাগনভূঞা উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

সকালে উপজেলা সদরের জিরো পয়েন্টে মানববন্ধনের আয়োজন করেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। দাগনভূঞা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের উপজেলা কমিটির সভাপতি নিতাই দাসের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক বিজন নাথ, দুলাল বাবু ও ভূবুতি কবিরাজ প্রমুখ। বেলা ১১টায় শহরের শহিদ মিনারে ফেনী জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ব্যানারে জেলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ করেছেন।

জেলা কমিটির সভাপতিত্ব রাজিব খগেশ দত্তের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ-সভাপতি হীরালাল চক্রবর্তী, অ্যাডভোকেট বিমল শীল, অনিল বণিক, লিটন সাহা, বিপুল শর্ম্মা প্রমুখ। এছাড়া ‘ধর্ষণমুক্ত নিরাপদ দেশ চাই, মা-বোনদের নিরাপত্তা চাই’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ, সোনাগাজীর নুসরাত, মুন্সীগঞ্জের সেতু মণ্ডল ও গাজীপুরের মনিকা গোমেজের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোনাগাজী জিরো পয়েন্টে সোমবার সকালে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পূজা কমিটির সভাপতি জগদীশ চন্দ্র শীলের সভাপতিত্বে ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদ জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক বিদ্যুৎ মহাজনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ফেনী জেলার সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজিত মজুমদার, সদস্য রূপম শর্মা, উপজেলা সহসভাপতি শান্তি রঞ্জন কর্মকার, দুলাল মজুমদার, উপজেলা সম্পাদক সমর দাস, কৃষ্ণ মাস্টার, পলাশ বসাক, ডা হারাধন, ডা. শুকলাল, ভবন বাবু, চরচান্দিয়া সম্পাদক পলাশ দাস, রঞ্জিত বালামী, চন্দন দাস প্রমুখ।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0063250064849854