শিক্ষার বিভিন্ন অধিদপ্তর ও সংস্থা পরিদর্শনে যাবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। বুধবার (১৬ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সঙ্গে বৈঠক শেষে শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের এতথ্য জানান।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের পর আজ এক বৈঠকে কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগ সম্বন্ধে অবগত হন শিক্ষা মন্ত্রী এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী। বৈঠকে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মূলত কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগ সম্বন্ধে জেনেছি। কোন দপ্তরের কী কাজ, কারিকুলামের ব্যাপারে নানা তথ্য জানলাম। মাদরাসায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, ইতিহাস, বিজ্ঞানসহ সব বিষয়ই পড়ানো হয়। অনেক বিষয়েই ই-বুক হয়ে গেছে। আলোচনায় কওমী মাদরাসার বিষয়টিও এসেছে। তবে কওমীর যে ১২টি বোর্ড আছে তারাই এই শিক্ষা দেখভাল করে। সরকার শুধু সনদের স্বীকৃতি দিয়েছে।’
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ‘কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসার জায়গার সমস্যার বিষয়টি আমাদের জানানো হয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে বলবো।’
দীপু মনি জানান, ‘উচ্চশিক্ষায় মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও ভালো করছে। চলতি শিক্ষা বর্ষে মাদরাসা থেকে আলিম পাস করা ১২৪ জন শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। কারিগরি শিক্ষার ব্যাপারেও বিভিন্ন তথ্য আমাদের জানানো হয়েছে। শিগগিরই আমরা শিক্ষার বিভিন্ন দপ্তর পরিদর্শনে যাবো। তখন আরো বিস্তারিত জানতে পারবো।’
বৈঠকে জানানো হয়, কারিগরি শিক্ষায় বর্তমানে এনরোলমেন্টের হার ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ। ২০২০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ এই হার ২০ শতাংশে উন্নীতের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কারিগরিতে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে মহিলা কোটা ১০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। সরকারি পলিটেকনিক নেই এমন ২৩ জেলায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আটটি বিভাগীয় শহরে মহিলা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপনেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের কার্যাবলীও তুলে ধরা হয় বৈঠকে।
আরও পড়ুন: প্রশ্নফাঁস রোধে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন: দীপু মনি
শিক্ষার উন্নয়নে সবার সহায়তা চাইলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি