৫৫ বছরের পুরনো রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী আড়ানী দাখিল মাদরাসাটি এবারও এমপিওভুক্ত হলো না। গত বুধবার প্রকাশিত তালিকায় নাম না থাকায় ওই মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
জানা যায়, স্থানীয় সমাজসেবক প্রয়াত ভোলাই হাজী ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। জীবদ্দশায় তিনি নিজের অর্থ দিয়েই শিক্ষকদের বেতন দিতেন। বর্তমানে মাদরাসাটিতে আড়াই শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। কর্মরত আছেন ১৫ জন শিক্ষক-কর্মচারী। ২০০০ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাদরাসাটি পাঠদানের অনুমতি পায়।
মাদরাসার সহকারী শিক্ষক মকবুল হোসেন ২৩ বছর ও হারুন-অর-রশিদ ৩০ বছর ধরে বেতন-ভাতাদি ছাড়াই চাকরি করে আসছেন। এ বিষয়ে মাওলানা হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘মাদরাসা এমপিও হবে, বেতন-ভাতাদি পাব—এই আশায় চাকরি করে যাচ্ছি। আর মাত্র ছয় মাস চাকরির বয়স আছে। এবারও এমপিওভুক্ত না হওয়ায় বেতন ছাড়াই অবসরে যেতে হবে।’ কথাগুলো বলতে বলতে তাঁর চোখে পানি টলমল করছিল।
সিনিয়র শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আশা ছিল এবার এমপিও হবে। কিন্তু সেটাও হলো না।
অফিস পিয়ন মামুন আলী বলেন, ‘মাদরাসা থেকে কোনো টাকা পাই না। মাদরাসা শেষে ইটভাটায় কাজ করে কোনোমতে চলি।’
সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট মাওলানা রাকিবুল হাসান বলেন, বোর্ডের সব শর্ত পূরণ করেও মাদরাসাটি এবারও এমপিওভুক্ত হলো না।