যশোর সদর উপজেলার ড. রওশন আলী কলেজ অব সায়েন্স অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট পরিচালনায় ১৫ লাখ টাকা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এটি আমলে নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. রওশন আলীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর। খুলনার আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালককে অভিযোগটি তদন্ত করে অধিদপ্তরে প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ২৪ জানুয়ারি যশোর সদর উপজেলার ড. রওশন আলী কলেজ অব সায়েন্স অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্টের বর্তমান পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম মিলন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. রওশন আলী ১৫ লাখ টাকা অনিয়ম করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। অভিযোগে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটি নামকরণের জন্য ন্যাশনাল ব্যাংকের মহাখালী শাখায় ১৫ লাখ টাকা জমা করা হয়। কিন্ত তৎকালীন সভাপতি সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের অজ্ঞাতে একক স্বাক্ষরে এ টাকা উত্তোলন করে নিজের ইচ্ছা মত খরচ করেন।
ড. রওশন আলী কলেজ অব সায়েন্স অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্টের বর্তমান পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম মিলন দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, ড. রওশন আলী স্বঘোষিত প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। বিধিমতে তিনি প্রতিষ্ঠাতা নন। একই টাকা বিভিন্ন খাতে খরচ দেখিয়ে প্রতিষ্ঠাতা হয়েছেন তিনি।
অভিযোগটি আমলে নেয় কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর। খুলনার অঞ্চলিক পরিচালককে অভিযোগটি সরেজমিনে তদন্তের দায়িত্ব দেয় কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর। অভিযোগটি সরেজামিনে তদন্ত করে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি মধ্যে সুস্পষ্ট মতামত প্রতিবেদন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে এ কর্মকর্তাকে।