সমাপনী পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ

গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি |

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করার ক্ষেত্রে স্বজন প্রীতির অভিযোগ উঠেছে পশ্চিম রতনদী তালতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) ও ইংরেজি বিষয়ের নিরীক্ষক মাওলানা সুলতান মাহমুদের বিরুদ্ধে। 

অভিযোগকারীরা হলেন গলাচিপা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মো: ফোরকান কবির ও একই কলেজের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ সফি-উল-ইসলাম। তাদের অভিযোগ, একজন নিকটাত্মীয়কে অধিক নম্বর পাইয়ে দিতে গিয়ে  প্রধান শিক্ষক ও ইংরেজি বিষয়ের নিরীক্ষক দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। 

দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায্য সমাধান পাওয়ার লক্ষ্যে জেলা শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তারা। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযোগকারীদের ছেলেরা বাংলাদেশ তুরস্ক ফ্রেন্ডশীপ স্কুল থেকে ২০১৮ খ্রিস্টাব্দের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। বিগত স্কুল পরীক্ষা গুলোতে তারা ১ম ও ২য় স্থান অধিকার করে আসছে। কিন্তু কম নম্বর পেয়ে বিগত পরীক্ষাগুলোতে ৩য় স্থান অধিকারী ছাত্রের (প্রাথমিক সমাপনী রোল নং ৪৯৯৯) অভিভাবক পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে প্রভাব বিস্তার করেছে। তার অভিভাবক ও নিকটাত্মীয়ের পরামর্শে লিখিত উত্তরপত্র মূল্যায়নের সময় চিহ্নিত করণের জন্য প্রতিটি উত্তর পত্রের শেষ পৃষ্ঠায় নিজ রোল ও নিয়ম বহির্ভূত সংকেত ব্যবহার করেছে। তার আপন ফুফা পশ্চিম রতনদী তালতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) ও ইংরেজি বিষয়ের নিরীক্ষক মাওলানা সুলতান মাহমুদ সহজে খাতা চিহ্নিত করার সুবিধার্থে প্যারাগ্রাফে নিজ পিতার নাম লিখেছে বলে পরীক্ষকদের মাধ্যমে জানা গেছে।

 

এছাড়া প্রধান শিক্ষক ওই দুই ছাত্রকে ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে কম নম্বর দিয়ে তার নিকটাত্মীয়কে অধিক নম্বর পাইয়ে দেন। এতে সুবিধাপ্রাপ্ত ছাত্র উপজেলায় প্রথম স্থান অধিকারের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। 
বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তদের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করে সঠিক ভাবে ফলাফল প্রকাশের জোর দাবি জানিয়েছেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক মাওলানা সুলতান মাহমুদ দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, যেসব অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তা মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। পূর্ব শত্রুতার জেরে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। 

গলাচিপা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মিজানুর রহমান দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, অভিযোগ পত্রটির অনুলিপি পেয়েছি। জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ পত্রটি দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0047600269317627