নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রথম দিনে ৩৭ জন হাইস্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে এসে পালিয়ে গেছে। রোববার (১৭ নভেম্বর) উপজেলার কাশিপুর এসি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
কেন্দ্র সচিব আনোয়ার হোসেন জানান, উপজেলার কাশিপুর এসি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও জেএসসি পাস করা ছাত্রসহ অন্যান্য বিদ্যালয় থেকে ৩৭ জন শিক্ষার্থী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের ঈশানগাতী পূর্বপাড়া আনন্দ স্কুল, ঈশানগাতী আনন্দ স্কুল ও রামেশ্বরপুর আনন্দ স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর পরীক্ষা দিতে আসে। খাতা দেয়ার পর এবং প্রশ্ন দেয়ার আগে ওই শিক্ষার্থীদের মুখে দাড়ি ও বয়স দেখে সন্দেহ হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা বিষয়টি তাকে অবগত করেন।
এর পর কেন্দ্র সচিব কাশিপুর এসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন ওই পরীক্ষার হল রুমে গিয়ে তার বিদ্যালয় থেকে গত বছর এসএসসি পাস করা ছাত্র সজিবকে দেখতে পান। এ বিষয়ে সজিবের কাছে জানতে চাইলে সে বলে আমিসহ আরও অনেকে আনন্দ স্কুলের ছাত্র সেজে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে এসেছি। এ কথা বলেই সে হল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনা জানাজানি হলে অন্য হল রুম থেকে আনন্দ স্কুলের ছাত্র হয়ে আসা ৩৭ জন শিক্ষার্থী খাতা ও প্রবেশপত্র রেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
কেন্দ্র সচিব আনোয়ার হোসেন আরও জানান, আনন্দ স্কুল থেকে মোট ৭৫ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে ৩৭ জন পরীক্ষার্থীকে অনুপস্থিত পাওয়া গেছে।
ঈশানগাতী পূর্বপাড়া আনন্দ স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আরজান বলেন, এসব শিক্ষার্থী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ে তা আমি জানতাম না। এ শিক্ষার্থীরা ঝরেপড়া বলে আমার বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার খান মো. সাইফুজ্জামান বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুকুল কুমার মৈত্র জানান, বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।