বরগুনার বেতাগীতে পঞ্চম শ্রেণিতে সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ জেনেও অনিশ্চয়তার মধ্যে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ফলে এর যৌক্তিকতা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা প্রশ্নের। শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বেতাগী পাইলট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে এ ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এতে ওই বিদ্যালয়ে ১৮০ আসনের বিপরীতে মোট ২৯৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৮৬ জন অংশগ্রহণ করলেও ষষ্ঠ শ্রেণিতে তাদের ভর্তি নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। কারণ ভর্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমাপনী পরীক্ষায় কেউ অকৃতকার্য হলে ভর্তিতে বাধবে জটিলতা।
জানা গেছে, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বেতাগী পাইলট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জনপ্রতি ফেরতযোগ্য ১৭০ টাকা করে ভর্তির আবেদন ফরম বিক্রি করে।
শুধু পঞ্চম শ্রেণিতে সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে। কিন্তু উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৩১ ডিসেম্বর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হবে। এতে সমাপনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে কীভাবে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হবে এ সমীকরণের সমাধান নেই কারও কাছে।
এ প্রসঙ্গে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সচিব ও বেতাগী পাইলট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম কবির বলেন, এটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। এতে আমাদের কোনো হাত নেই। সরকারি নিদের্শনা অনুযায়ী পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।
পরীক্ষা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাজীব আহসান জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী একই পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সমাপনীর ফলাফলের আগে ভর্তি পরীক্ষার অনুষ্ঠানে কোনো ব্যত্যয় হয়েছে বলে আমি মনে করি না। প্রয়োজনে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দেয়া হবে।