এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা-২০১৯ এর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ হলেও এখনও সম্মানী পাননি কক্ষ প্রত্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষকরা। তিন মাস পরেও সম্মানী না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন তারা। ঘটনাটি ঘটেছে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার শহীদ লে. সামাদ নগর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ কেন্দ্রে।
ভুক্তভোগী শিক্ষকরা হলেন মো. মাহবুবার রহমান, উজ্জ্বল চন্দ্র রায়, মো. হাফিজুর রহমান, মোছা. তারানা আলম, মো. সুরুজ্জামান ও মো. আরিফুল ইসলাম।
অভিযোগপত্র সূত্রে থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের রুটিন অনুযায়ী গত ০১ এপ্রিল ২০১৯ থেকে ০২ মে ২০১৯ তারিখ পর্যন্ত উক্ত কেন্দ্রে এইচএসসি (বিএম) বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষায় কক্ষ প্রত্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এ শিক্ষকরা। সম্মানী ভাতা প্রতিদিন পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর পরই দেয়ার নির্দেশনা থাকলেও বার বার মৌখিক আবেদন করেও আজও ভুক্তভোগী শিক্ষকরা কোনো প্রকার সম্মানী পাননি।
উক্ত কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব ও অধ্যক্ষ জনাব মোশাররফ হোসেন বাবু বার বার বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করা হয়। কোনো উপায় না পেয়ে ১১ জুন ২০১৯ তারিখে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ পত্র দাখিল করেন উক্ত শিক্ষকরা। কিন্তু এখনও বিষয়টির কোনো সুরাহা না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন তারা।
অভিযোগকারী শিক্ষকদের একজন হাফিজুর রহমান দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, দায়িত্বে অবহেলার কারণে পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্র সচিব মো. মোশাররফ হোসেন বাবুকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে বাকি পরীক্ষা পরিচালনার জন্য ভূরুঙ্গামারী উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপার ভাইজার সাইফুর রহমানকে উক্ত কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তিনিও সম্মানীর বিষয়টি সুরাহা করতে পারেননি।
জানতে চাইলে এ ব্যাপারে সাইফুর রহমান দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, পূর্বের কেন্দ্র সচিব তাকে অর্থনৈতিক বিষয়ে সম্পূর্ণ হিসেব বুঝিয়ে দেননি। এ ব্যাপারে কেন্দ্র সচিব মো. মোশাররফ হোসেন বাবুকে বার বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করে কেটে দেন।