ক্যাসিনো বাণিজ্যে বিতর্কিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে গ্রেফতারে বিলম্বের কারণ জানিয়েছেন র্যাব ডিজি বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেন, ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর দু-একদিন পরই ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ঢাকা ছাড়েন। তিনি ঢাকার বাইরে আত্মগোপনে চলে যান।
রোববার সম্রাটকে নিয়ে তার কার্যালয়ে যখন র্যাবের অভিযান চলছিল তখন র্যাব সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন র্যাব ডিজি বেনজীর আহমেদ।
যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া এবং জি কে শামীম র্যাবের হাতে গ্রেফতারের পর সম্রাটের অপকর্মের চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। ঢাকার ক্যাসিনো সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ সম্রাটের হাতে থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হয়। পাশাপাশি ক্যাসিনোর বিপুল অঙ্কের টাকা তিনি বিদেশে পাচার করেছেন এমন তথ্য বেরিয়ে আসে।
র্যাব ডিজি সাংবাদিকদের বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন। এ দেশে সবাই সমান অধিকার ভোগ করবেন। আইন মেনে চলবেন। কেউ যদি আইন অমান্য করেন, বেআইনি কাজে লিপ্ত হন, তাকে শাস্তি পেতে হবে।’
সম্রাটের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ আছে জানতে চাইলে বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছি, সেসব জায়গা থেকে সম্রাটের নাম বারবার এসেছে। ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সম্রাটের সঙ্গে আরমান নামের এক সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। সেও এই ক্যাসিনোর সঙ্গে যুক্ত।’
ক্যাসিনোর সঙ্গে আর কারা জড়িত জানতে চাওয়া হলে র্যাব ডিজি বলেন, ‘আমরা অভিযান চালিয়ে ক্যাসিনো বন্ধ করেছি। ক্যাসিনোর সঙ্গে আরও যারা সরাসরি জড়িত, তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। অভিযান চলমান রয়েছে।’
এর আগে ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে সম্রাটকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার সহযোগী আরমানকেও গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাদেরকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।