যুবলীগ থেকে সদ্য-বহিষ্কৃত ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার (৬ সেপ্টম্বর) তাঁর কাকরাইলের কার্যালয়ে ক্যাঙারুর দুটি চামড়া পাওয়ায় র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. ক. সারোয়ার বিন কাশেম এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে সম্রাটকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এর আগে র্যাব জানায়, তার কার্যালয় থেকে অবৈধ অস্ত্র, বন্য প্রাণীর চামড়া, বিদেশি মদ, ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য পাওয়া গেছে।
এর আগে ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে সম্রাটকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার সহযোগী আরমানকেও গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাদেরকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
আলোচিত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ঢাকার জুয়াড়িদের কাছে ‘ক্যাসিনো সম্রাট’ হিসেবে পরিচিত। জুয়া খেলাই তার পেশা ও নেশা। প্রতি মাসে ঢাকার বাইরেও যেতেন জুয়া খেলতে।
আরও পড়ুন: জামায়াত নেতার বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন যুবলীগ নেতা সম্রাট
সম্রাট-আরমান যুবলীগ থেকে বহিষ্কার
সম্রাটের প্রথম স্ত্রী ও ছেলেকে খুঁজছে র্যাব
সম্প্রতি রাজধানীতে ক্লাব ব্যবসার আড়ালে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে র্যাবের হাতে ধরা পড়েন সম্রাটের ডান হাত হিসেবে পরিচিত যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।
এর পর ধরা পড়েন রাজধানীর টেন্ডার কিং আরেক যুবলীগ নেতা জিকে শামীম। এ দুজনই অবৈধ আয়ের ভাগ দিতেন সম্রাটকে। তারা গ্রেফতার হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাটের অবৈধ ক্যাসিনো সাম্রাজ্য নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন। প্রকাশ্যে চলে আসে সুন্দর অবয়বের আড়ালে সম্রাটের কুৎসিত জগৎ। এতে করে বেকায়দায় পড়েন সম্রাট।