সার্ভার জটিলতা আর লকডাউনের মধ্যে বোর্ড -বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সব শিক্ষাসনদ ভেরিফাই করানোয় এমপিওভুক্তির আবেদনে ভোগান্তিতে পড়েছিলেন হাজার হাজার শিক্ষক কর্মচারী। রমজানের মধ্যে ১ মে থেকে নির্ঘুম ছয়টি রাত কেটেছে শুধু কম্পিউটারের সামনে বসে থেকে থেকে। সার্ভারে কখনো ঢোকা যায় তো তথ্য আপলোড নেয় না। আবার কখনো লগইনই করা যায় না। এমনই কয়েকডজন সমস্যা রয়েছে এমপিওর সফটওয়্যার ও সার্ভারে। শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকম নতুন এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির আবেদন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত সময়মতো ও সঠিকভাবে তুলে ধরেছে। সার্ভার জটিলতায় আবেদন করতে না পারার তথ্য তুলে ধরেছে। দৈনিক শিক্ষার প্রতিবেদনগুলো শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো: মাহবুব হোসেনের নজরে আসার সাথে সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এমপিওর আবেদনের সময় বৃদ্ধি করার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষা অধিদপ্তরগুলোর মহাপরিচালকদের। দুইদিন সময় বাড়ানোয় কয়েক হাজার শিক্ষক আবেদন করতে পেরেছেন।
করোনার মধ্যে শিক্ষকদের হাতে যাতে ঈদের আগেই এমপিওর টাকা পৌছাঁয় সেই লক্ষ্যে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের নেয়া শুভ উদ্যোগটি সফল হতে যাচ্ছে। সময়মতো পদক্ষেপ নেয়ায় শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষাসচিবের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। একইসাথে জটিলতার জন্য দায়ী ইএমআইএস সেলের সিস্টেম এ্যানালিস্ট ও প্রোগামারদ এবং ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাই।
আমরা আশাকরি ঈদের আগেই প্রথমবারের মতো সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা পাবো।
নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের পক্ষে
মো: রুহুল আমিন, যশোর