অভিযোগ রয়েছে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ সরকারি কলেজের ছাত্রাবাসে থাকছেন শিক্ষকরা। এখানকার ছাত্ররা থাকছেন মেস ও স্বজনদের বাড়িতে। ছাত্রদের ভাষ্য, আবেদন করেও ছাত্রাবাসে থাকার জায়গা হচ্ছে না তাদের।
ছাত্রাবাসে বসবাস করছেন অধ্যক্ষসহ নয়জন শিক্ষক। এমন ঘটনায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে রামগঞ্জ কলেজে তিন তলা বিশিষ্ট একটি ছাত্রাবাস নির্মাণ করা হয়। শুরু থেকে ৬-৭ বছর ছাত্ররা এখানে থাকার সুযোগ পেলেও ২০০৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে তাদেরকে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রদের ঠাঁই হয়নি; থাকছেন শিক্ষকরা।
বর্তমানে রামগঞ্জ সরকারি কলেজে পড়াশোনা করছেন প্রায় ১ হাজার ৭০০ শিক্ষার্থী। স্থানীয় ছাড়াও পার্শ্ববর্তী নোয়াখালী ও চাঁদপুরের ছাত্ররা এ কলেজে পড়ালেখা করেন। তবে দুরদুরান্তের ছাত্ররা ছাত্রাবাসে থাকতে না পারায় তাদেরকে বিপাকে পড়তে হয়। থাকতে হয় মেসে কিংবা স্বজনদের বাড়িতে।
চাঁদপুর ও নোয়াখালীর বাসিন্দা রামগঞ্জ কলেজের কয়েকজন ছাত্র জানান, ছাত্রাবাসে তাদের থাকার সুযোগ হচ্ছে না। বাসাভাড়া নিয়ে থাকতে হচ্ছে। এতে আর্থিকভাবে তাদের ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, কলেজ ছাত্রাবাসে থাকার সুযোগ না হওয়ায় প্রতিদিন বাড়ি থেকে আসা-যাওয়া করতে হয়। অনেক সময় সড়কে পরিবহন সমস্যার কারণে যথাসময়ে শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেওয়া সম্ভব হয় না।
ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল হাসান বলেন, কলেজে ছাত্রাবাস থাকলেও ছাত্রদের ভাড়া বাসায় থাকতে হয়। এমন অনেক ছাত্র আছেন যারা আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল। তাদের পক্ষে মেস কিংবা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকা কষ্টসাধ্য। তাদের কথা বিবেচনা করে অধ্যক্ষ বরাবর আবেদন করেও ছাত্রদের ছাত্রাবাসে থাকার ব্যবস্থা হয়নি।
ছাত্রাবাসে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক অসীম ধর বলেন, সম্প্রতি আমি এ কলেজে যোগদান করেছি। সাময়িকভাবে আমি এখানে উঠেছি।
কলেজ অধ্যক্ষ মো. ইকরামুল হক বলেন, ছাত্রাবাস শিক্ষার্থীদের থাকার উপযোগী নয়। এখানে প্রয়োজনীয় লোকবলেরও অভাব রয়েছে। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকার পর কয়েকটি কক্ষ সংস্কার করে আমরা কয়েকজন শিক্ষক ব্যবহার করছি।