সরকারি কলেজে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারীরা নিয়োগের তারিখ হতে তাদের চাকরি জাতীয়করণসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছেন। শুক্রবার (১৩ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারি ইউনিয়ন’ আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
বক্তারা বলেন, আমরা বিভিন্ন সরকারি কলেজে বিগত ১৫-২০ বছর ধরে বেসরকারি কর্মচারী হিসেবে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। বর্তমানে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে খুবই মানবেতর জীবন যাপন করছি। দ্রব্যমূল্যে ঊর্ধ্ব গতির কারণে আমাদের সন্তানদের লেখাপড়া প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে একজন গার্মেন্টস শ্রমিকের নূন্যতম মজুরি ৮৫০০ টাকা, ওভারটাইমসহ তাদের আয় ২০ হাজার টাকার ওপরে। সেখানে মাসিক বেতন হিসেবে আমরা পাই ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা। এছাড়া কোনো ওভারটাইমও নেই। এই টাকা দিয়ে বর্তমান বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জীবন যাপন করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
তারা আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে যোগাযোগ করার পরেও কোনো প্রকার সুযোগ-সুবিধা পাইনি। প্রতিটি সরকারি কলেজে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ সরকারি কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও সেখানে আছে মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ। গত ১৫/২০ বছর যাবত চাকরিতে আমাদের কোনো সুযোগ-সুবিধা বাড়েনি। তাই কোনো উপায় না দেখে বেঁচে থাকার তাগিদে আমরা আন্দোলনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সরকারি কলেজে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারীরা নিয়োগের তারিখ হতে তাদের চাকরি জাতীয়করণসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছেন। শুক্রবার (১৩ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারি ইউনিয়ন’ আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
এসময় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো- বেসরকারি কর্মচারীদের নিয়োগের তারিখ হতে চাকরি জাতীয়করণ, জাতীয়করণের আগ পর্যন্ত সরকারি বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন-ভাতাদি প্রদান এবং প্রতিটি কলেজের অধ্যক্ষকে বেসরকারি কর্মচারীদের জাতীয়করণের ক্ষমতা দিতে হবে।
মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি দুলাল সরদার ও সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমানসহ সরকারি কলেজের কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।