স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সরকারি চাকরিতে ডোপটেস্ট বাধ্যতামূলক হচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তারা যদি মাদকাসক্ত হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বুধবার (আজ) মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস। ১৯৮৮ সাল থেকে দিবসটি পালিত হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্য- ‘সুস্বাস্থ্যই সুবিচার, মাদকমুক্তির অঙ্গীকার’। দিবসটি পালনে সরকার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের গতিশীলতা ও জনবল বেড়েছে। মাদকবিরোধী আইন-২০১৮ যুগোপযোগী করা হয়েছে। মাদকবিরোধী জনমত তৈরি করা হচ্ছে। জুমার বয়ানে মাদকের বিরুদ্ধে সচেতন হওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।
এছাড়া মাদকবিরোধী পোস্টার, লিফলেট টানানো হচ্ছে, টকশো করা হচ্ছে। সরকারি চাকুরেদের বেলায় এটি প্রযোজ্য হবে কি না-এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সবার জন্য এটি প্রযোজ্য। সম্প্রতি এ ধরনের একটি অনুশাসনের ফাইলে অনুমোদন দিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এটা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন হবে। সরকারি চাকরিজীবীরা মাদকাসক্ত হলে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। চাকরিতে প্রবেশের সময় অবশ্যই ডোপটেস্ট দিয়ে আসতে হবে। মাদকের আলামত পাওয়া গেলে চাকরি প্রার্থীর আবেদন হয়তো বাতিল করে দেব।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে মিয়ানমারের সঙ্গে প্রতিবারই আলোচনা হচ্ছে উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খান বলেন, দেশটির সরকারপ্রধানের সঙ্গেও আলোচনা করেছি। তারা অনেক কথাই বলে; কিন্তু কোনো কথাই কার্যকর হয় না। ভারতের সঙ্গে এসব আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফেনসিডিলের সংখ্যা এখন অনেক কমে আসছে।