করোনা ভাইরাস সতর্কতায় জনসমাগম রোধে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাপ মোচনের জন্য ঐতিহাসিক ধর্মীয় বড় উৎসব ‘অষ্টমীর স্নান’ স্থানীয় উপাজেলা প্রশাসন থেকে স্থগিত করা হলেও মানছেন না সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
বুধবার (১ এপ্রিল) ভোর থেকেই বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার পুণ্যার্থী ব্রহ্মপুত্র নদের বিভিন্ন পয়েন্টে ছোট ছোট দলে অষ্টমীর পাপমোচন স্নান উৎসবে মেতে ওঠে। এ উপলক্ষে কোথাও কোথাও বসেছে ছোটখাট মেলা।
স্থানীয়রা জানান, প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকার ফলে এবার পুণ্যার্থীরা মূল পয়েন্ট চিলমারী নৌবন্দরে না গিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদকে ঘিরে চিলমারী উপজেলার ফকিরেরহাট, পুটিমারী, জোড়গাছসহ বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা বেষ্টনি ফাঁকি দিয়ে ছোট ছোট দলে অষ্টমীর স্নানে অংশগ্রহণ করে।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর এই দিনে দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মানুষ ৪/৫ কিলোমিটার এলাকাব্যাপী এই পুণ্য স্নানে অংশগ্রহণ করলেও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও জনসমাগম রোধে চিলমারী উপজেলা প্রশাসন এবার এই স্নান উৎসব বাতিল করে। এ নিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নেতাদের সাথে স্থানীয় প্রশাসন আলোচনা করে যৌথ উদ্যোগে স্নান উৎসব বাতিল করলেও কেউ কেউ তা মানছেন না। দল বেঁধে পরিবারের লোকজন পাপমোচনে পুণ্য স্নানে অংশগ্রহণ করছেন। এছাড়াও স্নান উপলক্ষে বসেছে ছোট খাট মেলা। পুরো ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।
চিলমারী সদরের এলএসডি মোড়ের সৌরভ রায়, সবুজ পাড়া এলাকার সঞ্জয় কুমার সরকার ও উজ্জ্বল কুমার জানান, মহামারি করোনা ঠেকাতে দেশে যখন সকল মানুষকে নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করতে বলা হচ্ছে, তখন কিছু মানুষ সেই নির্দেশনা মানছেন না। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।
এ ব্যাপারে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ জানান, আমরা খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশের সহায়তায় বিভিন্ন জায়গায় সমবেত হওয়া মানুষদেরকে সড়িয়ে দিয়েছি। এখন বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ অবস্থান করছে।