ঝালকাঠী সদরের সরকারি হরচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ের একজন ইংরেজি শিক্ষক পূর্ব চাদকাঠির শেফা ক্লিনিক গলির নিজ বাসায় ব্যাচে প্রাইভেট পড়ানোর ভিডিও এটি। শিক্ষক তপন কুমার কর্মকারের বাসায় দুই বেলা প্রাইভেট কোচিং করানো হলেও প্রশাসন নির্বিকার। সরকারি-বেসরকারি স্কুল শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধে সরকারী গেজেটেরও তোয়াক্কা করছেন না তারা।
শিক্ষকদের এসব কোচিং ও বাসার প্রতি ব্যাচে ৩০ থেকে ৪০ জন পর্যন্ত শিক্ষার্থীকে সপ্তাহে ৩দিন এক ঘন্টা করে পড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা করে নেয়া হয় প্রতিমাসে। এদেরই একজন তপন কুমার। নিজ স্কুলের ছাত্রীদের কোচিং করানোর বিষয়ে প্রথমে অস্বীকার করেন। দৈনিক শিক্ষার হাতে ভিডিও ফুটেজ থাকার তথ্য জানার পর তিনি বলেন, ‘আমার স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরা কোচিং সেন্টার চালাতে পারলে আমি কেন প্রাইভেটও পড়াতে পারবো না।’ ‘অন্য সবাই যখন কোচিং বন্ধ করবেন, তখন আমিও বন্ধ করবো,’ যোগ করেন তপন কর্মকার।
আর জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলেন, নিজ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদেরকে কোন শিক্ষক পড়াতে পারবেন না। এবিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষককে বলা হবে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।