রাজশাহী সরকারি পিএন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে যোগাযোগের জন্য এক গৃহিনীর ফোন নম্বর দেয়া হয়েছে। নাটোরের বাসিন্দা নারীর মুঠোফোন নম্বর ব্যবহার করায় জীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে তার। প্রায় দুই বছর ধরে ভর্তি, অভিযোগ, পরীক্ষার তথ্য চেয়ে আসা ফোন কলের জন্য প্রতিদিন ১৫-২০ বার অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে ওই গৃহিনীকে। একাধিকবার অভিযোগ করেও প্রতিকার পাননি বলে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান ভুক্তভোগী পারভীন নাহার।
অভিযোগ করে ভুক্তভোগী পারভীন নাহার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘আমি একজন গৃহিনী, বাড়ি নাটোর জেলা সদর এলাকায়। রাত-দিনে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০টি ফোন আসে তার কাছে। স্কুলের কার্যক্রম ও পরীক্ষা বিষয়ে জানতে চায় সবাই।’
তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও বলেন,‘স্কুলটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু স্কুলের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কেন এত উদাসীন হবে। দুই বছর থেকে ফোন আসছে। এতে স্বামীও বিরক্ত। এ নিয়ে অভিযোগ করেও কোনো কাজ হয়নি।’
পারভীন নাহার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও বলেন, ‘বছরের শেষ ও শুরুর দিকে ভর্তি সংক্রান্ত তথ্যের জন্য অনেকেই ফোন করে আমার নম্বরে। এছাড়া পরীক্ষা ও কোনো অনুষ্ঠানের সময় ফোন আসতেই থাকে। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব দেয় না।’
সরেজমিনে স্কুলটির কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে এ সত্যতা পাওয়া যায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে এই নম্বরটি ওয়েবসাইটে ঝুলিয়ে রেখেছে। অনেক অভিযোগের পরেও পরিবর্তন করা হয়নি। এছাড়া শিক্ষকদের পক্ষ থেকে স্কুলটির টেলিফোন নম্বর দেয়া হয়। কিন্তু ওই নম্বরটি পরিবর্তন করা হয় না এমন অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে দৈনিক শিক্ষাডটকমের পক্ষ থেকে পিএন উচ্চ বালিকার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৈহিদ আরার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। মুঠোফোন ও স্কুলের টেলিফোন নম্বরে বেশ কয়েক বার ফোন করা হলেও কেউ রিসিভ করেনি। তাই এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।