রিট ও আপিলের কারণে আটকে থাকা ১৪টি কলেজ সরকারি হচ্ছে। আইন কর্মকর্তাদের মতামতের আলোকে সরকারি করতে প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তালিকা প্রস্তুত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। এর আগে গত বুধবার শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে মামলা সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। তালিকাভুক্ত কলেজগুলোর প্রধানদের ডেকে কথা বলেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো: মাহাবুবুর রহমান।
সূত্রমতে, আগামী রোববার প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নিতে পাঠানো হবে। তিনি সম্মতি দিলেই জিও (সরকারি আদেশ) জারি করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কলেজগুলো হলো- সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদঘাট ডিগ্রি কলেজ, ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সালথা কলেজ, নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার তেলগতি ডিগ্রি কলেজ, ময়মনসিংহর ঈশ্বরগঞ্জের ঈশ্বরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার সৈকত ডিগ্রি কলেজ, রাঙ্গামাটির রাজস্থালী উপজেলার রাজস্থলী কলেজ, রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সরদাহ মহাবিদ্যালয়, সিরাজগঞ্জের চৌহলী উপজেলার চৌহালী ডিগ্রি কলেজ, যশোরের বাঘারপাড়া শহীদ সিরাজ উদ্দিন হোসেন মহাবিদ্যালয়, খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার এম এ মজিদ ডিগ্রি কলেজ, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজ, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব আইডিয়াল কলেজ, কুষ্টিয়ার ভেড়ামার উপজেলার ভেড়ামারা মহিলা কলেজ ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের গোবিন্দগঞ্জ কলেজ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, দেশের যেসব উপজেলায় কোনো সরকারি কলেজ নেই সেখানে একটি করে কলেজ সরকারি করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। সে আলোকে শিক্ষ মন্ত্রণালয় সরকারি কলেজবিহীন ৩০১টি উপজেলার একটি করে কলেজ সরকারি করার কার্যক্রম শুরু করে। সরকারি করতে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিপ্রাপ্ত কলেজেগুলোর মধ্যে চলতি মাসে দুই ধাপে ২৭৬টি এবং এর আগে তিনটিসহ মোট ২৭৯টি কলেজ সরকারি করা হয়েছে। পাঁচটি কলেজ সরকারি করার বিষয়ে অর্থ ছাড়ের সম্মতির জন্য অথ্য মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিপ্রাপ্ত নাটোর জেলার গোপালপুর উপজেলায় সরকারি কলেজ থাকায় গোপালপুর আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের ডিট অফ গিফট (দানপত্র) বাতিল করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি চ্যালেঞ্জ করে ৪৭টি উপজেলার অন্য কলেজ মামলা করে। মামলার কারণে জটিলতা নিরসন হওয়ায় ৩১টি কলেজ সরকারি করা হয়েছে। মামলাভুক্ত দুটি কলেজ সরকারি করতে অর্থ ছাড়ের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আর ১৪টি কলেজ সরকারি করতে আইনি বাধা নেই বলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আইন কর্মকর্তারা মতামত দিয়েছেন। তাদের মতামতের আলোকে এ ১৪টি কলেজ সরকারি করতে প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।