চাকরি সরকারিকরণের দাবিতে আগামি ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিকক্ষক দিবসে রাজধানীতে মহা অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা করেছেন বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা। গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় চাকরি সরকারিকরণ বাস্তবায়ন কমিটির নেতারা ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া। হয়।
কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘২০১৫ সালের জুলাই থেকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বৈশাখী ভাতা ৫ শতাংশ হারে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি দিয়ে আসছে সরকার, যা সরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারীরা পেয়ে থাকেন। তবে বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার কেউ তা পান না। এটি সরকারের বিমাতাসুলভ আচরণ।’
তিনি বলেন, চাকরি সরকারিকরণের দাবিতে বহুবার আলটিমেটাম দেওয়া সত্ত্বেও সরকার সহানুভূতিশীল হয়নি। এমনকি শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজনীয়তাও অনুভব করেনি। তাই ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চাকরি সরকারিকরণের ঘোষণা দেওয়া না হলে আগামি ৫ অক্টোবর ঢাকায় মহা অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া বলেন, প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ হলে বছরে সরকারের ব্যয় হবে প্রায় ১৬ হাজার ২৭০ কোটি টাকা। বর্তমানে বেতন বাবদ সরকার দেয় ১০ হাজার ৪৫০ কোটি
টাকা। অতিরিক্ত দিতে হবে প্রায় পাঁচ হাজার ৮২০ কোটি টাকা। কিন্তু তখন প্রতিষ্ঠান থেকে সরকারের আয় হবে প্রায় পাঁচ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। এ হিসাবে ডিগ্রি পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি সরকারিকরণ করলে সরকারের ব্যয় বাড়বে না; বরং বছরে প্রায় ৮০ কোটি টাকা আয় হবে।
শিক্ষক নেতারা বলেন, চাকরি সরকারিকরণের ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ১৮টি সংগঠনের বৃহত্তম মোর্চা 'বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী চাকরি সরকারিকরণ বাস্তবায়ন কমিটি' প্রয়োজনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝোলানোর কর্মসূচি দিতেও বাধ্য হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, অধ্যাপক আলমগীর হোসেন, অধ্যাপক কাজী মুহাম্মদ মাইন উদ্দীন, অধ্যক্ষ সেলিম মিয়া, মাহবুব আলম, অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক হোসেন রানা, অধ্যাপক রোকেয়া চৌধুরী বেবী, অধ্যাপক রাশেদুল ইসলাম প্রমুখ।