সরকারিকরণের নামে ভুয়া চিঠি পাঠিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কাছে টাকা আদায়ের চেষ্টা করছে একটি অসাধু চক্র। এ ধরণের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।
গত ৪ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ব্যানবেইসের নাম ব্যবহার করে সরকারিকরণ প্রসঙ্গে দুটি ভুয়া চিঠি পাঠিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কাছে টাকা আদায়ের চেষ্টা করছে একটি অসাধু চক্র। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে জননিরাপত্তা বিভাগে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে পত্রটি জারি করা হয়নি। প্রতারক চক্র শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নামে সাধারণ শিক্ষকদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিকাশ নম্বরের মাধ্যমে টাকা আদায়ের চেষ্টা করছে। শিক্ষকদের আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার চেষ্টা করছে তারা। এ ধরণের কর্মকাণ্ড শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সুনাম নষ্ট করছে।
চিঠিতে আরও বলা, পূর্বে এ ধরণের কার্যক্রম পরিলক্ষিত হলে গত ১৮ সেপ্টেম্বর জনসাধারণকে সাবধান করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। তারপরও প্রতারক চক্র কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। চিঠিতে এ ধরণের প্রতারক চক্রকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে জননিরাপত্তা বিভাগকে বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, গত ৪ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নামে জারি করা ভুয়া চিঠিতে বলা হয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের লক্ষ্যে জেলা সদর এলাকার প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রাথমিক সিলেকশন কার্যক্রম সম্পাদনের ক্ষমতা ব্যানবেইসকে দেয়া হয়েছে। চিঠিটিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিল ও তারিখের অংশ টেম্পারিং করা ছিল। জাল করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন ও উপসচিব অনোয়ারুল হকের স্বাক্ষর।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নামে ভুয়া চিঠিটির সাথে বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর নামে অপর একটি ভুয়া চিঠি পাঠানো হয়েছিলো শিক্ষকদের। এ চিঠিতে বলা হয়, নীলফামারী জেলার সদর এলাকায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রাথমিক সিলেকশনের জন্য ১৫০০ টাকা পাঠাতে হবে। ব্রাক ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট বিকাশে এ টাকা পাঠাতে বলা হয়। এক্ষেত্রে ০১৭৪৫২১৮৭১৩ এবং ০১৯৯৯৬৬১১২৬ নম্বর দুটি বিকাশ একাউন্ট খুলতে ব্যবহার করা হয়েছে ভুয়া চিঠিতে। এখানে টেম্পারিং করা হয়েছে ব্যানবেইসের উপপরিচালক মো. ইব্রাহীম খলিলের স্বাক্ষর। এ ভুয়া চিঠিতেও ব্যানবেইসের সিল ও তারিখ অন্য চিঠি থেকে কেটে আনা হয়।
আরও পড়ুন: সরকারিকরণের ভুয়া চিঠি, ব্যানবেইসের নামে টাকা আদায়ের চেষ্টা