সরকারিকৃত কলেজে অধ্যক্ষ পদে সংযুক্ত কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক |

সদ্য সরকারিকৃত কলেজের অধ্যক্ষের শূন্যপদে সংযুক্ত কর্মকর্তাদের প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক সমিতির নেতারা। তাই সরকারিকৃত কলেজে অধ্যক্ষের শূন্যপদে কর্মকর্তাদের সংযুক্ত করে জারি করা সব আদেশ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তারা। একই সাথে আত্তীকরণ বিধির পূর্ণ বাস্তবায়নসহ মুজিববর্ষের আগেই সরকারিকৃত কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের অ্যাডহক নিয়োগের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন সমিতির শিক্ষক নেতারা। মাধ্যমিক ও উচ্চ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো এক লিখিত আবেদনে এসব দাবি জানিয়েছেন সমিতির সভাপতি মো. নুরন্নবী আকন্দ ও সম্পাদক মো. আনোয়ারুল ইসলাম আকন্দ। আবেদনে আত্তীকরণ বিধির পূর্ণ বাস্তবায়নে ৩ দফা সুপারিশ জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।

সমিতির শিক্ষক নেতারা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, নিয়ম ভেঙে সরকারিকৃত কলেজের অধ্যক্ষের শূন্যপদে কর্মকর্তাদের সংযুক্ত করা হচ্ছে। তাই সরকারিকৃত কলেজের অধ্যক্ষের শূন্যপদে সংযুক্ত কর্মকর্তাদের প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছি।

শিক্ষক নেতারা আরও জানান, সরকারিকৃত কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের  আত্তীকরণ বিধি-২০১৮ এর বিবিধ ১৩(১) বিধি অনুযায়ী ‘সদ্য সরকারিকৃত কোনো কলেজের শিক্ষক কর্মচারির পদ শূন্য থাকলে সংশ্লিষ্ট কলেজের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাৎক্ষণিক বা ভবিষ্যতে পদোন্নতিযোগ্য আত্তীকৃত শিক্ষক কর্মচারিদের মধ্য হতে পূরণ করা হবে।’ আর ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে ১০ মার্চ  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া অনুশাসন অনুযায়ী  সদ্য সরকারিকৃত কলেজগুলোতে অধ্যক্ষের শূন্যপদে সংযুক্তি দেয়ার সুযোগ নাই।  তাই, যে অধ্যক্ষ কলেজের  দায়িত্বে আছেন  তাদের রেখেই আত্তীকরণ প্রক্রিয়া সমাপ্ত করার দাবি জানিয়েছেন সমিতির শিক্ষক নেতারা। আর ইতোমধ্যে সরকারিকৃত কলেজের অধ্যক্ষ শূন্যপদে  যেসব কর্মকর্তাদের সংযুক্ত করা হয়েছে, তাদের প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে।

সরকারিকৃত কলেজের শিক্ষক কর্মচারিদের আত্তীকরণ-২০১৮ বিধির পূর্ণ বাস্তবায়নসহ দ্রুত পদায়নের দাবি জানানো হয়েছেন শিক্ষক নেতারা। একই সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী অর্থাৎ মুজিব বর্ষের শুরু থেকেই সরকারিকৃত কলেজের শিক্ষক-কর্মচারিদের অ্যাডহক নিয়োগ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার - dainik shiksha ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার - dainik shiksha ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার অবন্তিকার আত্মহত্যা: সাতদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্নের আশ্বাস জবি উপাচার্যের - dainik shiksha অবন্তিকার আত্মহত্যা: সাতদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্নের আশ্বাস জবি উপাচার্যের হয়রানির প্রতিকার চেয়েও ফল পাননি অবন্তিকা, অভিযোগ মায়ের - dainik shiksha হয়রানির প্রতিকার চেয়েও ফল পাননি অবন্তিকা, অভিযোগ মায়ের নতুন শিক্ষাক্রম: শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে মিলছে না মূল্যায়ন - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম: শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে মিলছে না মূল্যায়ন মূল্যায়ন বুঝলেও নৈপুণ্য অ্যাপে চ্যালেঞ্জের মুখে শিক্ষকরা - dainik shiksha মূল্যায়ন বুঝলেও নৈপুণ্য অ্যাপে চ্যালেঞ্জের মুখে শিক্ষকরা ‘পড়তে ও লিখতে’ শেখা প্রকল্প কেনো - dainik shiksha ‘পড়তে ও লিখতে’ শেখা প্রকল্প কেনো please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0032119750976562