সদ্য সরকারিকৃত কলেজের ৫৯ বছর অতিক্রম হওয়া শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকারি সুবিধা পাওয়া দাবি করেছেন। দাবি আদায়ে বরিশালে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় শিক্ষক-কর্মচারীদের সভা থেকে ওই দাবি করা হয়েছে। একই সঙ্গে দাবি আদায়ে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে বরিশাল নগরের সিটি কলেজ সম্মেলন কক্ষে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকারি শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজ, আগৈলঝাড়ার সহকারী অধ্যাপক মো: নুরুল ইসলাম খানকে আহবায়ক ও সরকারি বামনা কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো: কবিরুজ্জামানকে সদস্য সচিব করে ওই কমিটি গঠন করে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সরকারি তোফাজ্জেল হোসনে মানিক মিয়া কলেজ, কাঠালিয়ার সহকারী অধ্যাপক মো: শফিকুল আলম, সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রী কলেজ, খেপুপাড়ার সহকারী অধ্যাপক আ: রশিদ, সরকারি মুলাদি কলেজ-এর সহকারী অধ্যাপক স্বপন কুমার বালা, সরকারি কাউখালি মহাবিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন হাওলাদার, সরকারি হিজলা ডিগ্রী কলেজ-এর সহকারী অধ্যাপক আ: খালেক ও সরকারি দশমিনা কলেজ- এর সহকারী অধ্যাপক আ: খালেক।
কমিটি গঠন সভায় শিক্ষক বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে গত ১২ আগস্ট দেশে ২৯৬ কলেজকে নতুন করে সরকারি করা হয়। ওই ঘোষণার ফলে যেসব উপজেলায় সরকারি স্কুল-কলেজ নেই সেখানে একটি করে স্কুল ও কলেজ সরকারি করছেন। কিন্তু নতুন আত্তীকরণ বিধিমালা অনুসারে ৮ আগস্ট থেকে সরকারিকরণ কার্যকরের দিন থেকে কিংবা তার আগে যেসব শিক্ষক-কর্মচারীর বয়স ৫৯ বছর অতিক্রম করেছেন তাদের আত্তীকরণের আওতায় আশা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বক্তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। তিনিই প্রথম প্রাথমিক স্কুল সরকারিকরণসহ বেসরকারি শিক্ষকদের নানা অর্থনৈতিক সুবিধার আওতায় আনেন।
৫৯ বছর অতিক্রম করা প্রবীণ শিক্ষকদের দাবি আদায়ের আহবায়ক কমিটির প্রধান নুরুল ইসলাম খান বলেন, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা থেকে সরকারিকরণের দিন ধার্য করা হলে তারা সরকারি চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৫৯ অতিক্রম করতেন না। এমনকি ‘ডিড অব গিফট’ সম্পন্ন হওয়ার দিন থেকে সরকারিকরণ ধরা হলেও তারা সরকারি সুযোগ-সুবিধা লাভ করতে পারতেন। নিয়োগ নিষেধাজ্ঞার দিন থেকে সরকারিকরণ কার্যকর করে তাদেরকেও সরকারি সুবিধার আওতায় আনার জোর দাবি জানান তিনি। এব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহানুভূতি কামনা করেছেন।
দাবি আদায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সরকারি শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজ-এর সহকারী অধ্যাপক ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কমলা রাণী মন্ডল, সহকারী অধ্যাপক মোবারক হোসেন, সরকারি তালতলি কলেজ-এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আ: জব্বার তালুকদার, সরকারি পাতারহাট আরসি কলেজ-এর সহকারী অধ্যাপক নজমুল হোসেন আকাশ, সরকারি মুলাদি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খালিদা রেবা, যোগেন বাড়ৈ, সরকারি জনতা কলেজ, দুমকি-এর সহকারী অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন খান, সরকারি আবুল কালাম ডিগ্রী কলেজ, বাবুগঞ্জ-এর সহকারী অধ্যাপক মো: জহিরুল হক, সরকারি রাজাপুর ডিগ্রী কলেজ-এর লাইব্রেরিয়ান মো: মোশারেফ হোসেন প্রমুখ।