সদ্য সরকারিকৃত ২৯০টি কলেজের একহাজারেরও বেশি প্রবীণ শিক্ষক-কর্মচারী বিপাকে পড়েছেন। চাকরিরত কিংবা সদ্য অবসরে যাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের ভবিষ্যত জীবন নিয়ে হতাশায় ভুগছেন। তাদের দাবি, ডিড অব গিফট সম্পন্ন হওয়ার পরে যাদের বয়স ৫৯ বছর হয়েছে তাদেরকে সরকারিকৃত কলেজের সব সুযোগ-সুবিধা দেয়া হোক।
৫৯বছর অতিক্রান্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সরকারিকরণে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে সম্প্রতি বরিশাল সিটি কলেজে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আগৈলঝাড়া সরকারি শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: নুরুল ইসলাম খান সভায় সভাপতিত্ব করেন। প্রধানমন্ত্রীর সহানুভূতি কামনায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ। দাবি আদায়ে সব বঞ্চিত শিক্ষক-কর্মচারীদের একীভূত হওয়ার আহবান জানান তিনি।
অধ্যাপক মো: নুরুল ইসলাম খান দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুসারে প্রতিটি উপজলায় একটি করে কলেজ সরকারিকরণের অংশ হিসেবে ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে সব নিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে নির্বাচিত কলেজগুলোর ডিড অব গিফট সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু একটি মহলের বিরোধীতাসহ নানা কারণে কালক্ষেপণ হওয়ায় গত ১২ আগস্ট কলেজগুলো সরকারিকরণের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
নুরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘসূত্রতায় চরম ক্ষতিগ্রস্ত হই আমরা একহাজারেরও বেশি প্রবীণ শিক্ষক-কর্মচারী। ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা থেকে সরকারিকরণের দিন ধার্য করা হলে আমরা সরকারি চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৫৯ অতিক্রম করতাম না। এমনকি ডিড অব গিফট সম্পন্ন হওয়ার দিন থেকে সরকারিকরণ ধরা হলেও আমরা সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেতাম।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করতে দেরি করায় আমরা সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আমরা চাই ৮ আগস্ট [সরকারিকরণ কার্যকরের দিন] কিংবা এর পূর্বে অথচ ডিড অব গিফটের পরে যারা ৫৯ বছর অতিক্রান্ত হয়েছেন তাদেরকেও সরকারি সুযোগ-সুবিধা গ্রহণের আওতায় আনা হোক।
অধ্যাপক নুরুল ইসলাম বলেন, খুব শিগগিরই আমরা সারাদেশের বঞ্চিতরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করে আমাদের কষ্টের কথা জানাবো। আমরা ফেসবুক পেজ খুলেছি। এর মাধ্যমে সবার সঙ্গে যোগাযোগ করবো।
বরিশাল সিটি কলেজের সভায় উপস্থিত ছিলেন, সরকারি শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজ-এর সহকারী অধ্যাপক ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কমলা রাণী ম-ল ও সহকারী অধ্যাপক মোবারক হোসেন, সরকারি পাতারহাট আরসি কলেজ-এর সহকারী অধ্যাপক নাজমুল হোসেন আকাশ, সরকারি মুলাদি কলেজের সহাকারী অধ্যাপক স্বপন কুমার বালা, খালিদা রেবা, ও যোগেন বাড়ৈ, সরকারি হিজলা ডিগ্রী কলেজ-এর সহকারী অধ্যাপক আবদুল খালেক, সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজ, খেপুপাড়া-এর সহকারী অধ্যাপক আ: রশিদ, সরকারি কাঠালিয়া কলেজ-এর সহকারী অধ্যাপক মো: শফিকুল আলম, সরকারি কাউখালি কলেজ-এর সহকারী অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন হালদার, সরকারি জনতা কলেজ, দুমকি-এর সহকারী অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন খান, সরকারি দশমিনা কলেজ-এর সহকারী অধ্যাপক আ: রশিদ, সরকারি আবুল কালাম ডিগ্রী কলেজ, বাবুগঞ্জ-এর সহকারী অধ্যাপক মো: জহিরুল হক, সরকারি রাজাপুর ডিগ্রী কলেজ-এর লাইব্রেরিয়ান মো: মোশারেফ হোসেন, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অবনি ভূষণ হালদার, মো: হাবিব, মো: ইসমাইল মিয়া প্রমুখ।