বরগুনার মঠবাড়িয়ায় সহপাঠীদের সাথে ঘুরতে এসে দুই কলেজছাত্রীর ধর্ষিত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে মঠবাড়িয়ার উত্তর মিঠাখালী গ্রামের মাঝেরপূল নামকস্থানে এ ঘটনা ঘটে। মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই দুই ছাত্রীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
শুক্রবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার এক ছাত্রী মঠবাড়িয়া থানায় ৪ জনকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। আজ সকালে মো. আবু বক্কর সাগর নামে এক আসামিকে চড়খালী ফেরিঘাট থেকে আটক করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগীর বামনা উপজেলার হলতা ডৌয়াতলা ওয়াজেদ আলী খান ডিগ্রি কলেজের সদ্য ভর্তি হওয়া একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
ধর্ষণের শিকার ওই দুই ছাত্রী জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় হলতা ডৌয়াতলা ওয়াজেদ আলী খান ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য কাগজপত্র জমা দেন। জমা শেষে দুপুরে প্রতিবেশী সহপাঠী সোহাগ খান (২০) ও শাহাদাত (২১) নামে দুই সহপাঠীকে নিয়ে ভাণ্ডারিয়া উপজেলার হরিনপালা ইকোপার্কে ঘুরতে যাওয়ার জন্য মঠবাড়িয়ায় পৌঁছে। সেখান থেকে একটি ইজিবাইকে করে তারা হরিনপালার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। দুপুরের সময় তাদের বহনকারী ইজিবাইক মঠবাড়িয়ায় উপজেলার উত্তর মিঠাখালী গ্রামের মাঝেরপুল নামক স্থানে নষ্ট হয়। এসময় অভিযুক্ত রানা, মারুফ ও সোহাগ তাদের জিম্মি করে। এরপর তাদের সাথে আরও কয়েকজন যোগ হয়। পরে তাদের সাথে থাকা সহপাঠী সোহাগ ও শাহাদাতকে মারধর করে ওদের বেঁধে রাখে। আসামিরা পরে স্থানীয় আরশেদ মিয়ার বাড়ির সম্মুখে সরকারি পুকুর পাড়ে নিয়ে ওই দুই ছাত্রীকে নিয়ে মারধর করে মোবাইল, টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। পরে তাদের দুজনকে নির্জনে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালায়।
এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া থানার ওসি মাসুদুজ্জামান মিলু দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এ ঘটনায় মঠবাড়িয়া থানায় ৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ ইদোমধ্যে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছেন। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।