কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিকদের হুমকি দেয়া দুই ছাত্রলীগ নেতার বিচারের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (কুবিসাস)। রোববার (২১ জুলাই) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরীর বরাবর দেয়া স্মারকলিপিতে এই দাবি জানানো হয়। দিয়েছে সাংবাদিকেরা। এছাড়া একই দাবিতে প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিনের কাছে আরেকটি স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। এছাড়া হত্যার হুমকিতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা
শুক্রবার (২১ জুলাই) রাত পৌনে দশটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হল এবং শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের ছাত্রলীগের জুনিয়র কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী শোয়েব হাসান হিমেল সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে গালমন্দ করেন এবং সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে কেন এসেছেন বলে চিৎকার করতে থাকেন। উপস্থিত সাংবাদিকরা প্রতিবাদ করলে হিমেল গুলি করার হুমকি দেয়। এসময় তার সঙ্গী শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রাইহান ওরফে জিসান সাংবাদিকদের মারতে আসেন। তবে অন্যরা তাকে নিবৃত করে।
এ ঘটনায় সাংবাদিক নেতারা বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (কুবিসাস) এর সদস্যরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশ তথা বিশ্বের দরবারে যথাযথভাবে উপস্থাপনে সদা জাগ্রত থাকে। তবে দুঃখের বিষয় যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদকর্মীরা বিভিন্ন সময় হুমকি, ধামকি ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার শিকার হয়ে আসছে।
এছাড়াও আজ রোববার (২১ জুলাই) বিকেলে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা। জিডিতে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই রাতে দুই হলের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এমন খবরে পেশাগত দায়িত্বের খাতিরে সেখানে তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে যায় সাংবাদিকরা। সেসময় মার্কেটিং বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শোয়েব হাসান হিমেল সাংবাদিকদের উদ্যেশ্য করে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ শুরু করেন। প্রতিবাদ করলে হিমেল সাংবাদিকদের উদ্যেশ্য করে হত্যার হুমকি দেয়। এমন বিদ্বেষমূলক বক্তব্যে সাংবাদিক সবুজসহ সাংবাদিক সমিতির সকল সদস্য তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।