নাটোরের বাগাতিপাড়ায় চলতি এসএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া অর্থ সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপে ফেরত দিয়েছেন শিক্ষকরা। গত সোমবার উপজেলার পেড়াবাড়িয়া দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে কৃষি এবং আইসিটি বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নিতে এ অর্থগ্রহণ করেন কেন্দ্রের দায়িত্বরত শিক্ষকরা। তবে কেন্দ্র সচিব শামসুল আরেফিন অর্থ নেয়ার কথা অস্বীকার করলেও পরদিন অর্থ ফেরত দেয়ার কথা স্বীকার করেন।
জানা যায়, চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে মাদরাসা পরীক্ষার্থীদের জন্য উপজেলার পেড়াবাড়িয়া দাখিল মাদরাসাটি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়। গত সোমবার কৃষি এবং আইসিটি বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নিতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৪০০ টাকা করে গ্রহণ করেন কেন্দ্রের দায়িত্বরত শিক্ষকরা।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় সাংবাদিকরা পেড়াবাড়িয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও কেন্দ্র সচিব শামসুল আরেফিনের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অর্থ নেয়ার কথা অস্বীকার করেন তিনি।
আরও পড়ুন: শিক্ষকের দাবি করা টাকা না দেয়ায় দুঘণ্টার ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ ১৫ মিনিটেই!
সরেজমিন দিনভর পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে মাদরাসা কেন্দ্রে অর্থ নেয়ার সত্যতার প্রমাণ পাওয়া যায়। কিন্তু সন্ধ্যায় জানা যায়, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে নেয়া অর্থ ফেরত দেয়া হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, ইসলামপুর মাদরাসার ১১ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে নেয়া টাকা তার হাতে ফেরত দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পুনরায় কেন্দ্র সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কে টাকা নিয়েছে সেটা তিনি জানেন না। তবে তিনি কোনো টাকা নেননি। যারা টাকা নিয়েছে তারা টাকা ফেরত দিয়েছে বলেও জানান তিনি’।
তার প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক টাকা নিয়েছে কিনা এবং কত টাকা নেয়া হয়েছে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে তা জানতে চাওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘এটা কী সাংবাদিকতা পেশার মধ্যে পড়ে’?
এ সময় তিনি এ প্রতিবেদককে বাড়াবাড়ি হচ্ছে বলে হুমকি দেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দেবী পাল মোবাইল ফোনে জানান, বিষয়টি তিনি জেনেছেন এবং পরীক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। এছাড়া কোনো শিক্ষার্থী টাকা ফেরত না পেলে তাকে জানাতে বলেন।