করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার ঘটনায় শিক্ষা বোর্ডের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছে সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। আজ সোমবার (২৯ জুন) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কাছে ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেছে কর্তৃপক্ষ।
প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কী ধরনের শাস্তি নেয়া হবে তা ঠিক করতে মঙ্গলবার (৩০ জুন) বোর্ডের উচ্চপর্যায়ে বৈঠকের কথা রয়েছে। বৈঠকে শোকজের জবাব পর্যালোচনা এবং অভিভাবক, শিক্ষকদের সঙ্গে বোর্ড কর্মকর্তারা কথা বলবেন।
শোকজের জবাব পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, 'সাউথ পয়েন্ট স্কুলের জবাব পেয়েছি। মঙ্গলবার তাদের জবাব পর্যালোচনা করে বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে।'
কী ধরনের সিদ্ধান্ত আসতে পারে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, 'এখনই এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারবো না। তাদের অপরাধ ও শোকজের জবাবের ওপর পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।'
স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হামিদা আলী বলেন, ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানতেন না। এজন্য তাআ শিক্ষা বোর্ডের জবাবে ভুল স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, 'ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা অনলাইনে পরীক্ষা না নিয়ে সরাসরি নেয়ার জন্য শিক্ষকদের অনুরোধ করেছেন। শিক্ষকরা বিষয়টি উপরের কাউকে না জানিয়ে পরীক্ষা নিয়েছে। আমি জানলে সঙ্গে সঙ্গে না করে দিতাম। এ ধরনের ভুলের জন্য আমরা শিক্ষা বোর্ডের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছি।'
আরও পড়ুন : করোনাকালেই ভর্তি পরীক্ষা, সাউথ পয়েন্ট স্কুলকে শোকজ
করোনাভাইরাস মহামারি রোধে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা নেয় ঢাকার সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজে। শনিবার (২৭ জুন) প্রতিষ্ঠানটির একটি শাখায় ইংরেজি মাধ্যমে শিশুদের ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়। রোববার (২৮ জুন) ঢাকা বোর্ড থেকে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ও সভাপতিকে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়।
স্থানীয় কয়েকটি সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, শনিবার সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের মালিবাগ শাখার ১৮৯ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়। তবে, ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার বিষয়টি জানেতেন না বলে সেদিনও সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হামিদা আলী।
বোর্ডের স্কুল পরিদর্শক আবুল মনসুর ভূঞা স্বাক্ষরিত শোকজ নোটিশে বলা হয়, গত ১৮ মার্চ থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের এ দুর্যোগকালে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া সরকারের আদেশ নির্দেশ অমান্য করার শামিল। তাই, কেন আপনার ও আপনার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে না তার ব্যাখ্যা তলব করা হলো।