করোনা ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় চীন ভ্রমণ এবং সেখান থেকে বাংলাদেশে আসার ক্ষেত্রে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বিষয়ে চিন্তা করছে সরকার। এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আগামী ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে বাংলাদেশ-চীনের সব ধরনের ভ্রমণ সাময়িকভাবে স্থগিত করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে বলে জানা গেছে।
পড়ালেখা এবং বাণিজ্যিক কারণে বহুসংখ্যক মানুষ চীন ভ্রমণ করেন। ভয়াবহ এই ভাইরাস যে কো নো উপায়ে দেশে চলে এলে সেটি বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।
তাই সর্বোচ্চ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ২৮ জানুয়ারি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জরুরি সভা করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন:
করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচবেন যেভাবে
করোনা ভাইরাস : বিশ্বে সাড়ে ৬ কোটি মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা !
করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক নয়, প্রতিরোধে সব ধরনের প্রস্তুতি আছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চীনে গতকাল শনিবার নতুন চান্দ্রবর্ষ শুরু হয়েছে। এটি চীনের অন্যতম প্রধান উৎসব হলেও নতুন করোনাভাইরাসের কারণে নববর্ষের অনেক অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। চীনে ভ্রমনরত ব্যক্তিদের মধ্যে যারা জ্বরে আক্রান্ত তাঁদের পরীক্ষা করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি শহরের ট্রেন স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
হংকংয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে এবং স্কুলগুলোর ছুটি বাড়ানো হয়েছে। আর যেসব দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে, তাঁদের পৃথক রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে।
ভাইরাসে ঠান্ডাজনিত অসুস্থতায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। প্রথমে জ্বর ও শুকনো কাশি দিয়ে শুরু হয়। এক সপ্তাহ পর তা ঘন ঘন নিশ্বাস নেওয়ায় রূপান্তরিত হয়। পরে শ্বাসকষ্ট হয়। অনেক ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া হয়। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কারও কারও অবস্থা গুরুতর হয়ে পড়ে। এর সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা বা টিকা বা ওষুধ নেই। এ ধরনের ভাইরাস আগে কখনো দেখা যায়নি।