বগুড়ায় এক ডজন ভুয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে সার্টিফিকেট বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত সেই এ এফ এম নুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আকলিমা খাতুনের বিরুদ্ধে এবার মামলা করল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির বগুড়া জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে গতকাল রোববার দুপুরে তাদের নামে পৃথক দুটি মামলা করেন। একই সংস্থার অপর সহকারী পরিচালক রবীন্দ্রনাথ চাকী মামলা দুটি রেকর্ড করেন।
মামলা দুটিতে নুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে সাত কোটি ৯৬ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে নুরুলের বিরুদ্ধে সাত কোটি ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ৭৩৫ টাকা এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৮২ লাখ ৪ হাজার ৪৬৮ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযুক্ত দু'জনই বর্তমানে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আটক রয়েছেন।
মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম ও আকলিমা দম্পতিকে নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন জানানো হবে।
দুদক জানায়, নুরুল ইসলাম বগুড়ায় বি.এড কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, চারুকলা ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট ও মেডিকেল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন নামে ১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থী ভর্তি এবং সার্টিফিকেট বাণিজ্য করে আসছিলেন। একপর্যায়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সিআইডির করা মামলায় চলতি বছরের ১৪ জুলাই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
দুদক কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে নুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়ায় তাদের নিজ নিজ সম্পদের হিসাব দাখিলের জন্য চলতি বছরের ২৫ জুন পৃথকভাবে চিঠি দেওয়া হয়। তারা কারাগারে আটক থাকায় ১৫ দিনের সময় চেয়ে আবেদন করেন। অবশ্য তার পর আর সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি।