দিনভর চেষ্টা করেও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ইএমআইএস সাইটে ঢুকতে পারেননি নতুন এমপিওভুক্ত অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও সাধারণ শিক্ষক। অনেক চেষ্টার পর শনিবার দুপুরে একবার ঢুকতে পারলেও রেজিস্ট্রেশনের শেষ ধাপে আপলোড নিচ্ছে না। প্রতিষ্ঠানের নতুন কোড নম্বর শিক্ষা অধিদপ্তরের কোনও নোটিশে বা জেলা ও উপজেলা অফিসে পাঠায়নি ইএমআইএস সেল। নিম্ন মাধ্যমিকের প্রতিষ্ঠান প্রধানরা স্তর পরিবর্তন হওয়ার পর নিজেদের উচ্চতর কোডে বেতন পাওয়ার আবেদন করার জন্য সফটওয়ারে কোনও অপশন রাখা হয়নি। কোনও নির্দেশনাও দেয়া হয়নি। ২ মে দিনভর দৈনিক শিক্ষার কাছে এমন অভিযোগ করছেন শিক্ষকরা। অথচ প্রতিষ্ঠানকে কোড নম্বর ও শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আদেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একেবারে নতুন প্রতিষ্ঠানগুলো কোড নম্বর বা অন্য কোন উপায়ে সফটয়ারে ঢুকতে না পেয়ে উপজেল ও জেলা শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করলেও অধিকাংশ কর্মকর্তাই কোনো সমাধান দিতে পারছেন না। জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা বলেছেন তারা কিছুই জানেন না। ভুক্তভুগী শিক্ষকরা শনিবার দুপুরে দৈনিক শিক্ষাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। বিকেল সাড়েতিনটার দিকে দৈনিক শিক্ষায় প্রকাশিত নতুন পদ্ধতিতে কোড দেয়ার খবর শুনে অনেকে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন বিষয়টি।
তবে, কোনও কোনও জেলা শিক্ষা অফিসার বলেছেন, নিবন্ধন করতে পারলেই প্রতিষ্ঠান প্রধানরা পরবর্তী ধাপে ঢুকে এমপিওর আবেদন করতে পারবেন। নরসিংদীর কোনও কোনও প্রতিষ্ঠান সফল হলেও অধিকাংশ জেলায় ব্যর্থ হয়েছেন।
অনেক শিক্ষক বলেছেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ইএমআইএস সেলের কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় সার্ভার জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। কোড নম্বরের বিষয়ে কোনও নোটিশ বা আদেশ দিয়ে শিক্ষকদের জানানো হয়নি।
এমপিওভুক্তির জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ২ হাজার ৬১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওর আবেদন গ্রহণ ২ মে থেকে শুরু হয়। ১ হাজার ৬৩৩টি স্কুল ও কলেজ শিক্ষকরা ইএমাআইএস সেলের মাধ্যমে থেকে এমপিও আবেদন করতে পারবেন।
আর ৪৯৯টি মাদরাসার শিক্ষকদের এমপিও আবেদন করতে হবে এমইআইএস (মেমিস) সফটওয়্যারের মাধ্যমে। আর ৪৮৩টি কারিগরি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের এমপিও আবেদনের হার্ডকপি ও সফটকপি পাঠাতে হবে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে।