সিন্ডিকেট সভাকে কেন্দ্র করে জাবিতে আবারও শিক্ষকদের দু'পক্ষে হাতাহাতি

জাবি প্রতিনিধি |

সিন্ডিকেট সভাকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) উপাচার্যপন্থি ও উপাচার্যবিরোধী আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের মধ্যে আবারও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবনের দ্বিতীয় তলার সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় লজ্জা ও হতাশা প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে গত ১৭ এপ্রিল ধর্মঘট পালন করতে পরিবহন ডিপোতে তালা দেওয়া নিয়ে এ দুই পক্ষের শিক্ষকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বিকেল ৪টায় পূর্বনির্ধারিত সিন্ডিকেট সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল। একই সময় উপাচার্য প্যানেল, সিন্ডিকেট ও ডিন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত নতুন নিয়োগ না দেওয়ার দাবিতে 

উপাচার্যবিরোধী আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। এ সময় কৃষক লীগের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য মোতাহার হোসেন মোল্যা সিন্ডিকেট সভাকক্ষে প্রবেশ করতে চাইলে উপাচার্যবিরোধী শিক্ষকরা তার পথরোধ করেন এবং সিন্ডিকেট সভায় অংশগ্রহণ না করার অনুরোধ জানান। এ নিয়ে উপাচার্যপন্থি ও উপাচার্যবিরোধী শিক্ষকরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। কয়েক মিনিট ধাক্কাধাক্কির পর উপাচার্যপন্থি শিক্ষকরা মোতাহার হোসেন মোল্লাকে সভাকক্ষে ঢুকিয়ে দেন।

এ বিষয়ে উপাচার্যবিরোধী বলে পরিচিত 'বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ'-এর সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, 'এরকম ঘটনা অপ্রত্যাশিত। উপাচার্যপন্থি শিক্ষকরা এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন।'

ঘটনার সময় উপস্থিত প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন বলেন, 'সিন্ডিকেট সভায় অনেক বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এটি শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে এটাই প্রত্যাশা। এর মাঝে শিক্ষকদের এমন আচরণ একবারেই কাম্য নয়।'

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নাজির চৌধুরী জয় বলেন, এটা লজ্জার। শিক্ষার্থী ও দেশবাসীর কাছে এ ঘটনার জন্য দায়ী শিক্ষকদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। হতাশা প্রকাশ করে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানা বলেন, শিক্ষকদের রাজনীতি হওয়া উচিত গঠনমূলক। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।

 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি - dainik shiksha চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0051639080047607