সিন্ডিকেটের খপ্পরে ১৩৫৩ কোটি টাকার প্রকল্প

সাব্বির নেওয়াজ |

নিম্নমানের তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য অধিক মূল্যে বিক্রি করতে ব্যর্থ হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি একটি প্রকল্পই বন্ধ করে দেওয়ার তৎপরতা চালাচ্ছে একটি প্রভাবশালী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। তাদের কারণে টানা দুই মাস প্রকল্পটির কার্যক্রম কার্যত বন্ধ। এ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, ল্যাপটপ, মডেম, সাউন্ডবক্সসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি সরবরাহ করার কথা। 

জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন এই প্রকল্পের নাম 'আইসিটির মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষা প্রচলন' (২য় পর্যায়)। এক হাজার ৩৫৩ কোটি টাকার এ প্রকল্পটি এখন অনিশ্চয়তায় পড়েছে। শিক্ষা খাতের এ প্রকল্পের সুফলও পাচ্ছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। শিক্ষা খাতের সংশ্নিষ্টরা বলছেন, অবৈধভাবে পণ্য বিক্রি করতে না পারার ক্ষোভ থেকে প্রকল্পই বন্ধ করে দেওয়ার মতো অপতৎপরতার এমন নজির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অতীতে কখনও ঘটেনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রযুক্তির মাধ্যমে মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষা দেওয়ার জন্য এক হাজার ৩৫৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। প্রকল্পের শুরু থেকেই কাজটি বাগিয়ে নিতে তৎপরতা শুরু করে আইসিটি খাতের 'এস' আদ্যক্ষরের একটি প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে আরও পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের একটি সিন্ডিকেট। তারা প্রকল্পের কর্মকর্তাদের তাদের সুবিধা অনুযায়ী কাজ করাতে না পেরে শেষ পর্যন্ত পুরো প্রকল্পটি আটকে দেওয়ার তৎপরতা শুরু করে। প্রথম ধাপেই তারা প্রকল্প পরিচালকের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে চাপ সৃষ্টি করে তাকে সরিয়ে দেয়। এতে পুরো প্রকল্পে স্থবিরতা নেমে আসে। এতে প্রকল্পের জন্য ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বরাদ্দ ১৪৬ কোটি ৪২ লাখ টাকার প্রায় পুরোটাই ফেরত গেছে। দুই মাস ধরে প্রকল্পের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় অলস সময় পার করছেন এতে নিযুক্ত ১৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী।

এ অবস্থা নিরসন ও প্রকল্পে গতি আনতে গত ২৪ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে উচ্চ পর্যায়ে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিনিধি, এটুআই প্রকল্পের প্রতিনিধি, আইসিটি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন টেলিফোন শিল্প সংস্থার (টেসিস) মহাপরিচালক, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট ও টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালকসহ সংশ্নিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে প্রকল্পকে সিন্ডিকেটের খপ্পর থেকে বাঁচাতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়। এর অন্যতম হলো, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বাদ দিয়ে সরকারি সংস্থা টেসিস থেকে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, কম্পিউটারসহ অন্যান্য সামগ্রী কেনা হবে। আর কেনাকাটা করা হবে ই-জিপির পরিবর্তে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম)।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, উচ্চ পর্যায়ের এ বৈঠকে মাউশির একজন পরিচালকের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন একাধিক কর্মকর্তা। তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার এ প্রকল্পে সিন্ডিকেটের সদস্যদের ঢোকার সুযোগ করে দিয়েছেন ওই পরিচালক। তার পছন্দের প্রতিষ্ঠান কাজ না পাওয়ায় তিনি প্রকল্পকে বিতর্কের মুখে ফেলে দেন। এক পর্যায়ে তার ইন্ধনে প্রকল্প পরিচালককে সরিয়ে দেওয়া হয়। এর পরও থেমে নেই তাদের তৎপরতা। তারা এখন সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে যন্ত্রপাতি কেনাকাটার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও তৎপরতা শুরু করেছে। 

এ ব্যাপারে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, এ প্রকল্প ভালোভাবেই চলছিল। কিন্তু একটি চক্র নানা সুযোগ নিতে অশুভ তৎপরতা শুরু করে। তারা ভিত্তিহীন অভিযোগও করতে থাকে। এখন সরকারের অগ্রাধিকার এ প্রকল্পকে বাঁচাতে টেসিসের মাধ্যমে সব সরঞ্জাম কেনাকাটার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, এ প্রকল্প থেকে যারা অনৈতিকভাবে সুযোগ নিতে পারেনি, তারা এখন কেটে পড়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার এ প্রকল্পের কাজ পেতে শুরু থেকেই একাধিক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গ্রুপ তৎপর ছিল। তাদের কথামতো কাজ না করায় প্রকল্প পরিচালক (পিডি) অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তারা। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি করে। তবে কমিটি প্রতিবেদন দেওয়ার আগেই ওই ব্যবসায়ীদের চাপে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আবার তদন্তে তার বিরুদ্ধে আর্থিক কোনো দুর্নীতির প্রমাণ না পাওয়ার পরও রহস্যজনক কারণে বিভাগীয় ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয়। বিষয়টি এখন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের টেবিলে আছে। 

এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মহিউদ্দিন আহমেদ (১২ আগস্ট বদলি হয়েছেন) বলেন, 'একটি তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা পড়েছে, এটা জানি। তবে সেখানে কী আছে, তা আমার জানা নেই। তবে প্রকল্পের গতি বাড়াতে দ্রুত পিডির বিষয়টি সমাধান করা হচ্ছে। আগের পিডি থাকবেন, না নতুন পিডি নিয়োগ দেওয়া হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়।'

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের তিন হাজার ৩৪০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪৬ হাজার মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম এবং দুই হাজার ৫০০টি স্মার্ট ক্লাসরুম স্থাপনসহ পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তাকে আইসিটি বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি বিদ্যালয়ে প্রজেক্টর, ল্যাপটপ, সাউন্ডবক্স ও মডেম ইত্যাদি শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হবে। এই প্রকল্পের কাজ পেতে সরকারি-বেসরকারি কয়েকটি আইসিটি প্রতিষ্ঠান নানাভাবে চেষ্টা-তদবির করছিল। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান টেসিস এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর 'ডকইয়ার্ড' নামের প্রতিষ্ঠান কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে ডিপিএম পদ্ধতিতে যন্ত্রপাতি সরবরাহের জন্য চিঠি দেয়। আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নানা জায়গা থেকে ডিপিএম পদ্ধতিতে দরপত্র না দেওয়ার জন্য প্রকল্প পরিচালককে চাপ দিতে থাকে। 

এ অবস্থায় কেনাকাটা কোন পদ্ধতিতে হবে, তা জানতে প্রকল্প পরিচালক মন্ত্রণালয়ের মতামত চান। এরপর ১৬ জানুয়ারি অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ও ১১ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইনের নেতৃত্বে বৈঠকে ডিপিএম বাদ দিয়ে সরকারি ক্রয় নীতি (পিপিআর) অনুসরণ করে উন্মুক্ত পদ্ধতির ই-জিপিতে দরপত্র আহ্বান করার সিদ্ধান্ত হয়।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় প্রথম কিস্তিতে গত এপ্রিলে প্রায় ১৪ হাজার মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর কেনার জন্য ই-জিপিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়। কিন্তু প্রজেক্টরের স্পেসিফিকেশন প্রদান এবং প্রয়োজনীয় অ্যাক্সেসরিজসহ প্রতিষ্ঠানে ইনস্টলেশনের শর্ত দেওয়া হয়। এ শর্তটি সিন্ডিকেটের লুটপাটের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। তারা সিন্ডিকেট করে দরপত্রে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকে। দরপত্র খোলার ১৭ দিন পর তারা পিডির বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশির কাছে দুর্নীতির অভিযোগ করে। অভিযোগে বলা হয়, দরপত্রে এমন শর্ত দেওয়া হয়েছে, যার ফলে কেবল একটি প্রতিষ্ঠানই এ কাজ করতে পারবে। 

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ আমলে নিয়ে গত ১০ জুন তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই দিনে পিডিকে ওএসডি করে মাউশিতে পদায়ন করা হয়। কমিটি ১৯ জুন ১৩টি পর্যবেক্ষণ দিয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়। জানা গেছে, সেখানে কোথাও পিডি অনৈতিকভাবে আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন বলে মন্তব্য নেই। 

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, একটি বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সরকারি একটি সংস্থার মাধ্যমে মাউশির বিভিন্ন প্রকল্পে ডিপিএম পদ্ধতিতে যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে, যা সরকারি ক্রয় নীতিমালার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এ প্রকল্পেও এ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সরকারি একটি সংস্থার মাধ্যমে কম্পিউটার, ল্যাপটপ সরবরাহের প্রস্তাব করে। প্রস্তাবটি মন্ত্রণালয় অনুমোদন না করায় তারা ভিন্ন পন্থায় তৎপরতা অব্যাহত রাখে এবং প্রজেক্টরের দরপত্র বাতিল করে ডিপিএম পদ্ধতিতে কম্পিউটার, ল্যাপটপ সরবরাহ করার জন্য প্রকল্প পরিচালককে চাপ দিতে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসায়ীদের ব্ল্যাকমেইল করে দরপত্রে অংশগ্রহণ থেকেও বিরত রাখতে সক্ষম হয়। 

জানা গেছে, স্মার্ট টেকনোলজিক (বিডি), ফ্লোরা, গ্লোবাল ব্র্যান্ড, এক্সপ্রেস সিস্টেমস, ওরিয়েন্টাল সিস্টেমস এভি লিমিটেড, আইওই, ইউনিক বিজনেস সিস্টেমস প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পে পণ্য সরবরাহ করে থাকে। কিছুদিন আগে অপর এক প্রকল্পে ২০০ কোটি টাকার একটি কাজ তারা সিন্ডিকেট করে বাগিয়ে নিয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলেও আমলে নেয়নি মাউশি বা মন্ত্রণালয়। এ প্রকল্পের শুরু থেকেই 'এস' আদ্যক্ষরের এক প্রতিষ্ঠান পণ্য সরবরাহের কাজ পেতে নানা ধরনের অনৈতিক প্রস্তাব দিতে থাকে পিডিকে। এ সিন্ডিকেটের বাইরে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান যাতে দরপত্রে অংশ নিতে না পারে, দরপত্রে তেমন শর্ত জুড়ে দিতেও প্রস্তাব দেওয়া হয় পিডিকে। পিডি সেগুলো আমলে না নিয়ে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য ডিপিপির প্রাক্কলন ধরে দরপত্র আহ্বান করেন। এরপর দরপত্র বাতিল করতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে ব্যবসায়ী এ সিন্ডিকেটটি। এতে তারা মাউশির একজন পরিচালক ও মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে ব্যবহার করে। 

মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন শাখা সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্প পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয় যে, প্রতিটি প্রজেক্টরের দাম ৬০ হাজার টাকা করে কেনা সম্ভব। এ ব্যাপারে প্রকল্পের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, 'তিনি কোনো ধরনের অন্যায় করেননি। শুধু ওই ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের অনৈতিক প্রস্তাব রাখেননি, তাদের প্রলোভনে পা দেননি। এটাই তার কাল হয়েছে।' তিনি বলেন, তারা ৬০ হাজার টাকায় মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্ট দেওয়ার যে কথা বলেছে, তা বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্যই। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, বর্তমান দরপত্রের নির্ধারিত স্পেসিফিকেশন ও অন্যান্য শর্ত বহাল রেখে কোনো প্রতিষ্ঠান ৬০ হাজার টাকা দরে ব্র্যান্ডেড প্রজেক্টর সরবরাহে সম্মত না হলে সংশ্নিষ্ট সিন্ডিকেটকে একই দরে প্রজেক্টর সরবরাহে বাধ্য করা উচিত। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। তার দাবি, প্রকল্পের আওতায় ইন্টারনেট মডেম ও সিম কেনার চার কোটি সাত লাখ টাকার চারটি প্যাকেজের দরপত্রে ৫৮ লাখ টাকা সাশ্রয় হয়েছে এবং চার কোটি সাত লাখ টাকার ডাটা প্যাকেজ বিনামূল্যে সংগ্রহ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতে শিক্ষা বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে বলেন, একটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট মাত্র দুই ডলার মূল্যের একটি পণ্য তাদের কাছে ১৭০ ডলারে বিক্রি করতে চেয়েছিল। দ্রুত পণ্য গছিয়ে দিতে অর্থবছরের শেষ সময় জুনে রীতিমতো চাপ সৃষ্টি করা হয়। অথচ ওই একই পণ্য সরকারি অন্য প্রতিষ্ঠানের কাছে তারাই দুই ডলারে বিক্রি করেছে।

 

সৌজন্যে: সমকাল


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
স্কুল-কলেজ, মাদরাসা খুলবে ২৮ এপ্রিল - dainik shiksha স্কুল-কলেজ, মাদরাসা খুলবে ২৮ এপ্রিল সাত দিন বন্ধ ঘোষণা প্রাথমিক বিদ্যালয় - dainik shiksha সাত দিন বন্ধ ঘোষণা প্রাথমিক বিদ্যালয় তীব্র গরমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা - dainik shiksha তীব্র গরমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ - dainik shiksha প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ছাত্ররাজনীতি লাভজনক পেশায় পরিণত হয়েছে : ড. আইনুন নিশাত - dainik shiksha ছাত্ররাজনীতি লাভজনক পেশায় পরিণত হয়েছে : ড. আইনুন নিশাত কারিগরির সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি - dainik shiksha কারিগরির সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি মাদরাসায় ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি - dainik shiksha মাদরাসায় ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0069670677185059