নুসরাতের মৃত্যুর পরপরই এই দুই শিক্ষকের এমপিও স্থগিতের পদক্ষেপ নিতে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে গত ১১ এপ্রিল চিঠি পাঠানো হয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে। রোববার (২৮ এপ্রিল) তার ১৯ দিন পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা এবং ইংরেজির প্রভাষক আফসার উদ্দীনেরও এমপিও স্থগিতের কথা জানানো হয়।
মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছিল, মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে শ্লীলতাহানী মামলা নং-২৪, তারিখ ২৭/০৩/২০১৯ এবং হত্যা মামলা নং-১০, তারিখ ০৮/০৪/২০১৯ সোনাগাজী থানার প্রেক্ষিতে মাদরাসার অধ্যক্ষ এবং ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক গ্রেফতার হওয়ায় তাদের এমপিও স্থগিত হওয়া প্রয়োজন।
নুসরাতের পরিবারের করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে বন্দি রয়েছেন অধ্যক্ষ সিরাজ।
যৌন হয়রানির ওই মামলায় গত ২৭ মার্চ সিরাজকে গ্রেফতারের পর মামলা তুলে নিতে নুসরাতকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। তাতে রাজি না হওয়ায় অধ্যক্ষের সাঙ্গোপাঙ্গরা গত ৬ এপ্রিল নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পাঁচ দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন থাকা নুসরাত মারা যান।
নুসরাত এ বছর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা থেকে আলিম পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিলেন।