সিলেট বোর্ডের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান হায়াতুল!

নিজস্ব প্রতিবেদক |

সিলেট শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান হচ্ছেন ‘ছাত্রশিবিরপন্থী’ হিসেবে শিক্ষা প্রশাসনে পরিচিত শিক্ষক অধ্যাপক হায়াতুল ইসলাম আকঞ্জি। গত বছরের ডিসেম্বরে তিনি সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। জাতীয়কৃত  টঙ্গী কলেজ থেকে আত্তীকৃত হওয়া এই অধ্যাপক এর আগে তিনি সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের উপাধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সিলেট শিক্ষাবোর্ডের চেয়াম্যান পদে তার নামটি প্রস্তাব করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আলোচিত ‘মোল্লা’। সহযোগীতা করেছেন একজন উপ-সচিব। যিনি হায়াতুলের ছাত্র ছিলেন।

হায়াতুল ইসলাম সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে শিবির মনোনীত ‘হায়াতুল-হাতিম’ প্যানেল থেকে নির্বাচন করে হেরে যান। ১৯৭৯-৮০ সংসদের ওই নির্বাচনের সময় কলেজটি বেসরকারি ছিলো। ভিপি হিসেবে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। ছাত্রী মিলনায়তন কেন্দ্রে হায়াতুল একটি ভোটও পাননি। ওই সংসদে বিজয়ী একাধিক নেতা দৈনিকশিক্ষাডটকমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন। ওই সংসদে ছাত্র ইউনিয়ন মনোনীত প্যানেল থেকে নির্বাচন করে বিজয়ীদের মধ্যে একজন বর্তমানে আাওয়ামী লীগের সাংসদ।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর শেষ করে ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে ঢাকার টঙ্গীর একটি বেসরকারি কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন।

২০১৩ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বরে এমসি কলেজের উপাধ্যক্ষের দায়িত্ব পান তিনি। গাড়ী ব্যবহার নিয়ে ওই কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে  বিরোধে জড়িয়ে পড়েন হায়াতুল। তার মতামত জানার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

এদিকে মঙ্গলবার রাত দশটা ৩৪মিনিটে দৈনিকশিক্ষায় প্রতিবেদন প্রকাশের পর দৈনিকশিক্ষার প্রতিবেদনের পাঠকের মন্তব্যের ঘরে প্রফেসর মো: হায়াতুল ইসলাম আকঞ্জি নাম ব্যবহার করে একটি মন্তব্য করা হয়েছে। ইংরেজিতে লেখা মন্তব্যটি হুবহু এরকম: “From time immemorial, social jealousy has been inherent in human nature. I’ve been teaching with all honour and fame since 1984. Throughout my career, I’ve not been involved in politics. As I’ve been in Sylhet for the last twenty eight years, I’m sure, every educated person in this city knows me very well. I always try to maintain integrity in my life, and this practice sometimes goes against me. The news of my being posted as Chairman of Sylhet Education Board is a decision of the ministry concerned. So, no comment should be made on such an important issue on the basis of superficial guesses. To be frank, it’s not at all good to frame a concocted story against a non-partisan, innocent man. The news here is quite embarrassing and humiliating to me.”


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ - dainik shiksha প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার - dainik shiksha তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার - dainik shiksha স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন - dainik shiksha নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0035560131072998