আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ২০১২ সালে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি’ সব বিভাগের শিক্ষার্থীর জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়। অথচ বিষয়টি পড়ানোর মতো দক্ষ শিক্ষক বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই। সোমবার (২৬ অক্টোবর) ইত্তেফাক প্রত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, এছাড়া বিজ্ঞানভিত্তিক কঠিন বিষয় হওয়ায় একমাত্র ওপর ক্লাসের মেধাবী শিক্ষার্থী ছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে তা শঙ্কার বিষয় হয়ে দেখা দিয়েছে। বিষয়টি শুধুমাত্র মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্যই বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে।
তথ্যপ্রযুক্তির গুরুত্ব ও প্রাথমিক জ্ঞানের জন্য অন্যান্য শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান বইতে এ বিষয়ে একটি অধ্যায় সংযোজন করা যেতে পারে। বর্তমানে সব শিক্ষার্থীর জন্য বাধ্যতামূলক করা উচিত সাধারণ রোগ-ব্যাধি প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত বিষয়। স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে অনেক সাধারণ এমনকি কঠিন রোগও সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব।
মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পাশ করা বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের পাল্স দেখা, ব্লাডপ্রেসার ও ব্লাডসুগার পরীক্ষা করা, ইনজেকশন ও স্যালাইন পুশ করা, ব্যান্ডেজ করাসহ সাধারণ রোগের প্রাথমিক চিকিত্সা শেখানো যেতে পারে। এজন্য ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত একটি পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করে ধাপে ধাপে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করা উচিত।
স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবে আমাদের দেশে অসংখ্য মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। অনেকেই ন্যূনতম চিকিত্সাসেবাও পায় না। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন করে গড়ে তোলা হলে তারা অন্তত পরিবারের সদস্যদের প্রাথমিক চিকিত্সা দিতে পারবে। এছাড়া বিভিন্ন দুর্যোগে শিক্ষার্থীদের চিকিত্সকদের সহায়তাকারী হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। বিষয়টি ভেবে দেখা যেতে পারে।
লেখক:বিপ্লব বিশ্বাস,গোয়ালচামট,
ফরিদপুর