বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪০ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের জন্য এনটিআরসিএ সুপারিশকৃতদের নিয়োগে বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশকৃত প্রার্থীদের নিয়োগে বাধা দিলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা রয়েছে হাইকোর্টের আদেশে। এছাড়া প্রতিষ্ঠান প্রধান ও পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে এমপিও নীতিমালায়ও।
আরও দেখুন: এনটিআরসিএর সুপারিশে নিয়োগ না হলে.. (ভিডিও)
গত ২৪ জানুয়ারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪০ হাজার শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশকৃতদের তালিকা প্রকাশ করেছে বেসরকারি এনটিআরসিএ। প্রার্থীদের অভিযোগ, কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে জানানো হচ্ছে ভুল তথ্য দেয়ায় চাহিদার অতিরিক্ত পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে, তাই সুপারিশকৃতদের নিয়োগ দেয়া যাচ্ছেনা। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান প্রার্থীদের থেকে ঘুষ দাবি করছে বলেও অভিযোগও রয়েছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে একাধিক প্রার্থী সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন, তাই প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছেনা বলেও অভিযোগ রয়েছে। সুপারিশকৃত প্রার্থীদের নিয়োগ বাধাগ্রস্থ হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের কথা বলা হয়েছে একাধিক নির্দেশনায়।
হাইকোর্টের সাম্প্রতিক এক আদেশে বলা হয়েছে, কোন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি যদি শিক্ষক পদে এনটিআরসিএর করা সুপারিশ ৬০ দিনের ভিতর বাস্তবায়ন না করে, তাহলে সংশ্লিষ্ট বোর্ড সে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি ভেঙ্গে দেবে। বোর্ড প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আরও পড়ুন: শূন্য পদের ভুল তথ্যের ঝামেলা পোহাচ্ছে এনটিআরসিএ
এদিকে গতবছরের ১২ জুন জারি করা বেসরকারি স্কুল-কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোর ১৮ এর (ঘ) অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে, প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এনটিআরসিএতে শিক্ষক চাহিদা দিলে উক্ত পদে মনোনীত প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে হবে। প্যাটার্নের অতিরিক্ত চাহিদা দিলে উক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের শতভাগ বেতন-ভাতা প্রতিষ্ঠান থেকে নির্বাহ করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের বেতন ভাতা স্থগিত বা বাতিল করা হবে এবং পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে এনটিআরসিএর একজন কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাকে জানান, কোনও প্রতিষ্ঠান সুপারিশকৃতদের নিয়োগ না দিলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সুপারিশকৃতদের নিয়োগ বাধাগ্রস্থ হলে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে যথাযথ কর্তৃপক্ষ জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন। কোন প্রার্থীর নিয়োগে বাধাগ্রস্থ হলে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রত্যয়নসহ এনটিআরসিএকে লিখিতভাবে জানানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে প্রার্থীদের। এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেলে এনটিআরসিএ থেকে শিক্ষা বোর্ডকে বিষয়টি জানানো হবে। বোর্ড প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি ভেঙ্গে দিবে।