এনটিআরসিএ’র সুপারিশপ্রাপ্ত ৫ শিক্ষককে নিয়োগ না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার মাঝগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সুপারিশপ্রাপ্তরা গত তিনদিন ধরে বিদ্যালয়ে ঘুরলেও প্রধান শিক্ষক তাদেরকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন বলে জানান তারা।
সুপারিশপ্রাপ্ত ৫ শিক্ষক হলেন গণিত বিষয়ে মোছাঃ হোসনেয়ারা খাতুন, শরীরচর্চা বিষয়ে শামীমা আক্তার, বাংলা বিষয়ে মোছাঃ জান্নাতুল আক্তার, ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে উজ্জল কুমার দাস এবং ইংরেজী বিষয়ে মোঃ মুকুল হোসেন।
তারা দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, গত মঙ্গলবার, সুপারিশপত্র নিয়ে ৫জন একত্রিত হয়ে বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ রুস্তম আলীর সাথে সাক্ষাৎ করি। তিনি বুধবারে যেতে বলেন। আমরা বুধবার গেলে তিনি বলেন একটা সমস্যা আছে তাই নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে না। বিষটি মোবাইল ফোনে এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে আমাদেরকে পরামর্শ দেওয়া হয় প্রধান শিক্ষক কেন নিয়োগ দিতে পারবেন না সে বিষয়ে লিখিত প্রত্যয়ন নিয়ে এনটিআরসিএকে জানাতে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক লিখিত দেওয়ার আগে আমরা সেচ্ছায় নিয়োগ নিচ্ছি না মর্মে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে লিখিত দেওয়ার দাবি করেন। পরে আমরা লিখিত না দিয়ে ফিরে আসি। বৃহস্পতিবার পুনরায় বিদ্যালয়ে গেলে প্রধান শিক্ষক এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত দেন যাতে লেখা রয়েছে চাহিদা দিতে গিয়ে তিনি ভোকেশনালের কাছে ভুলে জেনারেল শাখা উল্লেখ করে ফেলেছেন। তাই নিয়োগ দিতে পারছেন না। কিন্তু সুপারিশপ্রাপ্ত ৫টি পদ জেনালের শাখার এই ধরণের পদ ভোকেশনাল শাখায় নাই।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক রুস্তম আলী বলেন, সুপরিশ প্রাপ্তদের সাথে ফয়সালা হয়ে গেছে। তারা সেচ্ছায় ফিরে গেছে। কি ফয়সালা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সমাধানকৃত বিষয়ে আর প্রশ্ন না করাই ভাল।
জানতে চাইলে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির সুপারিশ করা হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে।