এনটিআরসিএর সুপারিশ পেয়েও যোগদান করতে পারেনি অনেক প্রার্থী। বিভিন্ন বাহানায় প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ নিয়োগপত্র দেয়নি সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের। সে প্রেক্ষিতে যোগদানে বাধা দেয়া মাদরাসাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরকে এ নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠির সাথে যোগদানে বাধা দেয়া মাদরাসাগুলোর একটি তালিকা পাঠিয়েছে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ।
মন্ত্রণালয়য়ের পাঠানো চিঠিতে, এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নিয়োগপত্র না দেয়ার কারণ যাচাই করে, যোগদানে বাধা দেয়া মাদরাসাগুলোর বিরুদ্ধে এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরকে।
জানা গেছে, গত মার্চে সুপারিশপ্রাপ্তদের যোগদানে বাধা দেয়ায় প্রায় ৪শ স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এনটিআরসিএর পাঠানো চিঠিতে এমপিও নীতিমালা মোতাবেক এসব শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়। সেই সুপারিশ আমলে নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ। এ প্রেক্ষিতেই মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরকে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত বছরের ১২ জুন জারি করা বেসরকারি স্কুল-কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোর ১৮.১ এর (ঘ) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এনটিআরসিএতে শিক্ষক চাহিদা দিলে উক্ত পদে মনোনীত প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে হবে। প্যাটার্নের অতিরিক্ত চাহিদা দিলে সেই শিক্ষক কর্মচারীদের শতভাগ বেতন-ভাতা প্রতিষ্ঠান থেকে নির্বাহ করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের বেতন ভাতা স্থগিত বা বাতিল করা হবে এবং পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।