কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার গয়ালমারা দাখিল মাদরাসা ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হয়েছে। তবে, এমপিওভুক্তির পরও বকেয়া বেতন বোনাস তুলতে পারছেন না প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকরা। শিক্ষকদের দাবি এমপিও শিটে মাদরাসাটির বেতন-ভাতা পরিশোধের ব্যাংকের নাম ভুল এসেছে। তাই, বকেয়া বেতন ভাতা প্রাপ্তি নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন তারা। যদিও মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার নির্দেশনা মানেনি সুপার। জনতা ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে বলা হলেও তিনি রূপালী ব্যাংকে খুলেছেন। সুপার দিল মোহাম্মদের অদক্ষতায় বকেয়া বেতন-ভাতা খুলতে পারছেন না প্রতিষ্ঠানটির ১২ জন শিক্ষক-কর্মচারী।
জানা গেছে, এমপিও আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের পর মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ১২ জন শিক্ষক- কর্মচারীর এমপিওভুক্ত করে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাস থেকে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের জুন পর্যন্ত বেতন-ভাতাদি ছাড় করেছে। কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জনতা ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে বলা হলেও রূপালী ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে তাই শিক্ষকরা বকেয়া বেতন-ভাতা দিতে পারছেন না।
মাদরাসার সুপার দিল মোহাম্মদসহ অন্যান্য শিক্ষকদের দাবি, , এমপিওভুক্তির জন্য চূড়ান্ত নির্বাচনের পর গত ৪ মে শিক্ষক-কর্মচারীরা এমপিওভুক্তির আবেদন করেন। আবেদনে প্রতিষ্ঠানটির বেতন ভাতা পরিশোধে উখিয়া কোটবাজার শাখা রূপালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নম্বর দেয়া হয়। উপজেলার এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ এবং মাদরাসা স্কুলের শিক্ষকদের বেতন-ভাতা এ শাখাতেই পাঠানো হয়।এমপিও শিটে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ঠিক থাকলেও রূপালী ব্যাংকের পরিবর্তে জনতা ব্যাংক উল্লেখ থাকায় বেতন ভাতাদি তুলতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: যেসব ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলবেন নতুন এমপিওভুক্ত মাদরাসা শিক্ষকরা
তবে, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, গয়ালমারা মাদরাসার সুপার দিল মোহাম্মদের অদক্ষতার জন্য শিক্ষকরা বেতন-ভাতা তুলতে পারছেন না। গত ১ মে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেখানে সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের নতুন এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকদের জনতা ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে বলা হয়েছিল। কিন্তু অধ্যক্ষ কেন রূপালী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুললেন সে বিষয়টি আমাদের জানা নেই।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও বলেন, সুপারের অদক্ষতায় ১২ জন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী বিপদে পড়েছেন। এখন সুপার দাবি করছে ভুল মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের। তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এসব অভিযোগ দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: এমপিও শিটে ভুল : গয়ালমারা মাদরাসা শিক্ষকদের বেতন-বকেয়া অনিশ্চিত
এ জটিলতা কবে নাগাদ নিরসন হতে পারে জানতে চাইলে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, আমরা জটিলতা নিরসনের চেষ্টা করছি। এ ভুলের জন্য তাদের টাকা অন্য ব্যাংকে চলে গিয়েছে। আমরা দ্রুততম সময়ে জটিলতা নিরসনের চেষ্টা করছি।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষা ডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।