নাটোরের লালপুর উপজেলার লালপুর থানা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ লেকচার গাইড বই পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রোববার ওই কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি। তবে, নিষিদ্ধ ওইসব গাইড বইয়ের প্রকৃত মালিকের সন্ধান পাওয়া গেছে। ওই বইয়ের প্রকৃত মালিক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি। দৈনিক শিক্ষাডটকমের অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
রোববার দুপুরে বিদ্যালয়ে এসে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে লেকচার প্রকাশনীর ২৪০টি গাইড বই দেখেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হায়দার আলী। তাই, প্রধান শিক্ষক শরীফা বেগমের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের গাইড বই ক্রয়ে বাধ্য করার অভিযোগ তোলেন তিনি। এ সময় প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থাকায় তার কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন সভাপতি।
পরিচালনা কমিটির সভাপতি হায়দার আলী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ‘প্রধান শিক্ষক বছরের শুরুতেই একটি গাইড প্রকাশনীর সাথে চুক্তি করে বিদ্যালয়েই গাইড বই বিক্রি শুরু করেছেন বলে অভিযোগ পেয়েছি। রোববার বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে গাইডের স্তুপ দেখে সে কক্ষে তালা লাগিয়ে দিয়েছি।’
আরও পড়ুন: প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নিষিদ্ধ লেকচার গাইড, সভাপতির তালা
তবে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরীফা বেগম গাইড কিনতে ছাত্রীদের বাধ্য করার অভিযোগ অস্বীকার করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, পারিবারিক অনুষ্ঠানের কারণে ছুটিতে থাকায় তিনি বিদ্যালয়ে ছিলেন না। তাই কেবা কারা তার কক্ষে গাইড বই রেখেছেন সে সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।
এদিকে দৈনিক শিক্ষাডটকমের অনুসন্ধানে নিষিদ্ধ লেকচার গাইড বইয়ের প্রকৃত মালিকের সন্ধান মিলেছে। এসব গাইড বইয়ে প্রকৃত মালিক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি। দৈনিক শিক্ষাডটকমের পক্ষ থেকে করা প্রশ্নর জবাবে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি হযরত আলী। নিষিদ্ধ গাইড বইগুলোর বিষয়ে তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘বছরের শুরুতে বিভিন্ন গাইড কোম্পানির প্রতিনিধিরা শিক্ষকদের জন্য সৌজন্য কপি বই দেয়। উপজেলা সমিতির জন্য কিছু বই দেয়া হয়। সব স্কুলের জন্য এক সেট করে বই দেয়া হয় সমিতিকে। সমিতির নিজস্ব কার্যালয় না থাকায় ওই গাইডগুলো ওই স্কুলে রাখা হয়েছিল। ’ তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমের কাছে দাবি করেন,‘গাইড ব্যবসা বা ছাত্রীদের কাছে বিক্রি করার জন্য গাইড রাখা হয়নি। এটা সৌজন্য কপি যা শুধুমাত্র শিক্ষকদের জন্য।’