সেই সংগীত স্কুলের জমি দখলের অপচেষ্টা

রাজশাহী প্রতিনিধি |

‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ কালজয়ী এ গানের সুরকার ভাষাসংগ্রামী মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আলতাফ মাহমুদের নামে প্রতিষ্ঠিত সংগীত বিদ্যালয়ের জমি দখলের অপচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে জেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া নগরীর হাসপাতাল রোডের পুরনো এক তলা ভবনসহ সরকারের ‘ক’ গেজেটভুক্ত প্রায় ১০ শতাংশ জমি প্রভাবশালী চক্রটি জালিয়াতির মাধ্যমে দখলের চেষ্টা করছে। সুশীলসমাজের নেতারা এ জমি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

বরিশাল সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সদস্যসচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু জানান, ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে এক তলা ভবনসহ জমি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ মাহমুদ সংগীত বিদ্যালয়ের নামে লিজ দেয় জেলা প্রশাসন। এই সংগীত বিদ্যালয়ের মাধ্যমে ভাষাসৈনিক শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ মাহমুদ ও তাঁর অমর সৃষ্টি সম্পর্কে জানতে পারছে নতুন প্রজন্ম।

বরিশালের শিক্ষক আন্দোলনের পুরোধা অধ্যাপক মহসিন-উল ইসলাম হাবুল জানান, ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে নগরের রূপাতলীর রফিক উদ্দিন আহমেদ রফিজ গং ওই জমি নিজেদের এবং তাঁদের ভোগদখলে রয়েছে উল্লেখ করে জিয়াউদ্দিন হাসান কবিরকে রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার দায়িত্ব দেন।

কিন্তু জিয়াউদ্দিন হাসান কবির ওই জমির ধারেকাছেও যেতে পারেননি। ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে ওই জমি সরকারি গেজেটভুক্ত হয়। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে রফিজ গং শিল্পপতি বিজয় কৃষ্ণ দের স্ত্রী শৈল দের কাছে ১৬ লাখ টাকায় রেজিস্ট্রিমূলে বিক্রি করেন। কিন্তু স্থানীয়দের বাধার মুখে বিজয় কৃষ্ণ দে ওই জমি ভোগদখলে যেতে পারছিলেন না।

২০১২ খ্রিষ্টাব্দে বিএস রেকর্ডেও ওই সম্পত্তি ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান বলেন, ওই সম্পত্তি অর্পিত সম্পত্তি হিসেবেই থাকবে এবং সেখানে শহীদ আলতাফ মাহমুদের নামে প্রতিষ্ঠিত সংগীত বিদ্যালয়টি পরিচালিত হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি - dainik shiksha ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে - dainik shiksha ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে মাকে ভরণপোষণ না দেয়ায় শিক্ষক গ্রেফতার - dainik shiksha মাকে ভরণপোষণ না দেয়ায় শিক্ষক গ্রেফতার ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0028228759765625