চাকরি স্থায়ীকরণ দাবিতেসেকায়েপ শিক্ষকরা আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বসছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক |

চাকরি স্থায়ীকরণ অথবা এসইডিপি প্রকল্পে স্থানান্তরের দাবিতে আজ সোমবার (২ মার্চ) রাজপথে নামছেন বিলুপ্ত সেকায়েপ প্রজেক্টের অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকরা (এসিটি)। রোববার (১ মার্চ) পরিষদের নেতারা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন নেতারা।

পরিষদের সভাপতি মো. রুহুল আমিন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বরে সমাপ্ত সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্টে (সেকায়েপ) নিয়োগ পাওয়া অতিরিক্ত শ্রেণিশিক্ষকদের (এসিটি) চাকরি স্থায়ী করার আশ্বাস দেয়া হলেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় এসব শিক্ষকদের ভাগ্য অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, সেকায়েপ প্রকল্পের অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকরা প্রকল্পের মেয়াদ শেষে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে কয়েক দফায় আন্দোলন করেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল হকের দেয়া আশ্বাসের পরও ২৬ মাসে বিনা বেতনে পাঠদান করে চাকরি স্থায়ীকরণ হয়নি।  শিক্ষাবান্ধব সরকারের স্লোগান “মুজিববর্ষে কেউ থাকবে না বেকার”। তাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী শুরুর আগেই এসিটিদের চাকরি এসইডিপিতে স্থানান্তর বা স্থায়ীকরণের প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানাচ্ছি। এ দাবিতে আগামীকাল সোমবার (২ মার্চ) থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।

শিক্ষকরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে তিন বছর মেয়াদে সেকায়েপ প্রকল্পের অধীনে সারাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৫ হাজার ২০০ জন বিষয়ভিত্তিক (ইংরেজি,গণিত ও বিজ্ঞান) অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। যারা কাজের মাধ্যমে প্রশংসিতও হয়েছিল। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রকল্প শেষে চাকরি স্থায়ীকরণের উল্লেখ ছিল। পরবর্তী প্রোগ্রামে স্থানান্তরের কথাও দেয়া হয়েছিল। প্রকল্পের মেয়াদ শেষে গত ২৬ মাস ধরে এসিটিরা অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছেন। অপরদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের আশ্বাসের কারণে এসিটিদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সও শেষ। আশ্বাস দেয়া কর্মকর্তারা কেউ বদলি হয়ে অন্য মন্ত্রণালয়ে গেছেন, কেউবা অবসরে গেছেন। কিন্তু যোগ্য শিক্ষকরা ভুগছেন।  

এসিটিদের দাবি বয়স, অভিজ্ঞতা ও তাদের দ্বারা মাধ্যমিক পর্যায়ে বিশেষ অবদান এবং মানবিক দিক বিবেচনা করে চাকরি স্থায়ীকরণ বা বিনাশর্তে দ্রুত এসইডিপি প্রোগ্রামে নেয়া হোক। সেকায়েপভুক্ত শিক্ষকরা এ বিষয়ে মুজিববর্ষকে সামনে রেখে মহান স্বাধীনতার মাসে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। 

এর আগেও আন্দোলনে নেমেছিলেন এসিটিরা। অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকদের অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কৌশিক চন্দ্র বর্মনের বিরুদ্ধে চাঁদা আদায়, ভুল তথ্য দিয়ে সময়ক্ষেপণ, বিতর্কিত অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল হক ও শিক্ষা ক্যাডারের প্রিম রিজভীর দালালিসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেছিলেন শিক্ষকরা। শিক্ষকদের অভিযোগ, ভুল তথ্য আর সেকায়েপের কর্মকর্তাদের মিথ্যা আশ্বাস ও দালালি করার কারণে দাবি আদায় হয়নি। প্রথমে তারা এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়ে আসছিলেন। পরে ওই দাবি থেকে সরে এসেছেন। এসিটিদের দাবি, তাদের চাকরি স্থায়ীকরার আশ্বাস দিয়েছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব অতিরিক্ত সচিব ড. মাহমুদুল হক। দাবির বিষয়ে মানবন্ধন বা সংবাদ সম্মেলন বা সাংবাদিকদের সাথে কথা না বলার মৌখিক নির্দেশও দিয়েছিলেন মাহমুদুল হকসহ বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কয়েকজন কর্মকর্তা।

ভুক্তভোগী সেকায়েপ শিক্ষকরা বলেন, যদি ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসেই আন্দোলনে নামা উচিত ছিল। মাহমুদুলের দালাল কৌশিকও শিক্ষকদের ভুল বুঝিয়েছেন। অনেক শিক্ষক ইতোমধ্যে অন্য চাকরি নিয়ে চলে গেছেন কিন্তু যাদের সরকারি চাকরির বয়স নেই তারা ভুগছেন। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0031929016113281