রূপপুর মোড় বাজার, স্বর্ণকলি বিদ্যাসদন স্কুল উচ্ছেদের সময় বৃদ্ধি ও উচ্ছেদকালীন মানবিক বিবেচনায় ক্ষতিপূরণের দাবিতে গত রোববার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন সাধারণ ব্যবসায়ী ও স্কুল কর্তৃপক্ষ। ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সামনে রূপপুর মোড় বাজার ও স্বর্ণকলি বিদ্যাসদন স্কুল কর্তৃপক্ষের ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ কর্মসূচিতে ক্ষুদ্র ও সাধারণ ব্যবসায়ী ছাড়াও পাকশী রেলওয়ে শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
বক্তারা বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প সংলগ্ন বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিত্যক্ত জমি যা ইতোপূর্বে দোকান মালিকদের রেল ভূমি ব্যবহার উচ্ছেদের জন্য মৌখিক ও দোকানে লাল ক্রস চিহৃ দিয়েছেন। এই রেলভূমির মধ্যে প্রায় পঞ্চাশ বছরের পুরাতন একটি বাজার আছে। যেখানে দুইশত ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের দোকান রয়েছে। এখানে প্রতিদিনই এই প্রকল্পের শ্রমিক-কর্মচারীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনেন।
বক্তারা আরও বলেন ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে যখন এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করার জন্য জমি অধিগ্রহণ করতে যে সব বসতবাড়ী উচ্ছেদ করা হয়, তাদের কিছু সংখ্যক পরিবারকে পাশের গ্রামে পুনর্বাসন করা হয়। সেই সব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের অধিকাংশ সদস্যরা জীবন-জীবিকার তাগিদে এসব দোকান পরিচালন করেছেন। এখানে একটি মসজিদ আছে। যেখানে শত শত মুসল্লি নামাজ আদায় করে। আছে একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুল। স্কুলটিতে বর্তমানে প্রায় ৬০০ ছাত্রছাত্রী লেখাপড়া করেছেন। আকস্মিক উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করলে উচ্ছেদের সময়ে মানবিক বিবেচনা করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রকল্প থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।