রায়পুর মার্চেন্টস একাডেমি কিন্ডার গার্টেন প্রতিষ্ঠানে উন্নয়নের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে শিক্ষকদের সাথে অভিভাবকদের বাগবিতণ্ডা হয়। এতে ছাত্র-ছাত্রীসহ সবার মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গত বুধবার সরেজমিনে ওই বিদ্যালয়ে গেলে প্লে, দ্বিতীয় ও পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী-ছাত্রীদের অভিভাবক শিল্পী রানী, সুমনা ও আব্দুল মান্নানসহ কয়েকজন ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, এ প্রতিষ্ঠানে প্লে থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৩০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। বছরের প্রথমে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক সেশন ফি নামে ১৫০০ টাকা করে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আদায় করেন। প্রায় শিক্ষার্থীর পরিবারই নিম্ন মধ্যবিত্ত। বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে লেখ পড়ার মান তেমন ভালো না হওয়ায় কেজি স্কুলমুখী হচ্ছে অনেকেই। এ সুযোগে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটি ও প্রধানরা মিলে যেমন খুশি তেমনিভাবে বেতন-ফি আদায় করে নিচ্ছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে ওই প্রতিষ্ঠান ত্যাগে বাধ্য করে শিক্ষকরা। আমরা এ ধরনের অনিয়ম বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, পরিচালনা কমিটির সদস্যদের নির্দেশে স্কুল উন্নয়নের নামে প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।
প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুর নাহার বেগম জানান, রায়পুরের কেজি স্কুলগুলো আমাদের তদারকির বাইরে হওয়ায় আমরা কিছুই করতে পারি না। তবে বিষয়টি দুঃখজনক।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিল্পী রানী রায় বলেন, স্কুল উন্নয়নের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা মানে চাঁদাবাজি করা। এ অনিয়ম বন্ধে অভিভাবক ও স্কুল কমিটির সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।