শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার হাটুরীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে মারধর করে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। নয় দিন পরেও বিদ্যালয়ে ফিরতে পারছে না ওই ছাত্রী। আজ বৃহস্পতিবার ছাত্রীর মা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বিষয়টি নিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় সূত্র ও ওই ছাত্রীর পরিবার জানায়, গোসাইরহাট উপজেলার নলমুরি ইউনিয়নের চরভুয়াই গ্রামের দরিদ্র শ্রমিকের মেয়ে স্থানীয় হাটুরীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। গত ৯ মে বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর সাথে দশম শ্রেণির এক ছাত্রের কথা বলাকে কেন্দ্র করে ওই বিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীর সাথে তার ঝগড়া হয়। ওই দুই ছাত্রী বিষয়টি প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ রতনকে জানান। নুর মোহাম্মদ রতন ওই ছাত্রীকে তার কক্ষে ডেকে নেন। এ ঘটনার জন্য সেখানে ওই ছাত্রীকে গালমন্দ করেন তিনি। ওই ছাত্রী তখন প্রধান শিক্ষকের পায়ে ধরে ক্ষমা চায়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক তার হাতের থেকে বই কেড়ে নিয়ে তাকে থাপ্পর মেরে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন। আর তাকে শাসিয়ে দেন সে যেন আর বিদ্যালয়ে না আসে। তাকে বিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করা হবে।
ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা গত নয়দিন ধরে প্রধান শিক্ষক, স্থানীয় ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যান ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে যান। কিন্তু কেউই তাদের সহায়তা করেননি।
বৃহস্পতিবার (১৭ মে) দুপুরে ওই ছাত্রী ও তার মা গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের বারান্দায় বসে কান্না করছিলেন। তখন সেখানে তাদের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়।
গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম শাহনেওয়াজ বলেন, বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। আমি বিদ্যালয়ের প্রথধান শিক্ষক ও ঘটনার সাথে যে শিক্ষার্থীরা জড়িত তাদের সংবাদ দিয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মেয়েটি অবশ্যই বিদ্যালয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে।