কুড়িগ্রামের রাজারহাটে বিদ্যাানন্দ ইউনিয়নের ডাংরারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ রেখে বেতন উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহ. রাশেদুল হক প্রধান আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়ে বিদ্যালয় বন্ধ পান। তাৎক্ষণিক তিনি ওই প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকদের এক দিনের বেতন কর্তনের নির্দেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিদ্যাানন্দ ইউনিয়নের ডাংরারহাট উচ্চ বিদ্যালয়টিতে গত ১৫ মে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহ. রাশেদুল হক প্রধান আকস্মিক পরিদর্শনে যান। বেলা ১১টার সময় বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এসময় তিনি বিদ্যালয় বন্ধের কারণ জানতে প্রতিষ্ঠান প্রধান সেকেন্দার আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন। তখন তিনি জানতে পারেন বেতন উত্তোলনের জন্য শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছেন। এ কথা শুনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাৎক্ষনিকভাবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ওই প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষকের এক দিনের বেতন কর্তন করার নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি ছুটিতে ছিলাম, দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক বারিক হোসেন বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে বেতন উত্তোলন করতে গিয়েছিলেন।’
এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহ. রাশেদুল হক প্রধান জানান, বিদ্যালয় বন্ধ রেখে বেতন উত্তোলনের দায়ে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একদিনের বেতন কর্তন করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে সুপারিশ করা হয়েছে।
জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জান গেছে, বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন কর্তনের ক্ষমতা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেই।