বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার বেড়ুঞ্জ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের আসন্ন ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে আক্কেলপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ফায়ারম্যান মাসুদ রানা প্যানেল দিয়েছেন। অফিসে না গিয়ে তিনি ও তার লোকজন ছবি দিয়ে রঙিন লিফলেট ছপিয়ে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন।
আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। একজন সরকারি কর্মচারীর এহেন কাজে জনগণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তারা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদনও করেছেন। মোবাইল ফোন বন্ধ রাখায় মাসুদ রানার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স জয়পুরহাটের উপসহকারী পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগে এলাকাবাসী উল্লেখ করেছেন, আগামী ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার বেড়ুঞ্জ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন। এ নির্বাচনে বেড়ুঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা ও জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিসের ফায়ারম্যান মাসুদ রানা নিজ নামে প্যানেল দিয়েছেন। ভোটার ম্যানেজ করতে টাকা ব্যয় ও পিকনিকের আয়োজন করছেন। এতে ভোটারদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের প্রিসাইডিং অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদুন্নবী জানান, সরকারি চাকরিজীবী হয়ে কেউ নিজ নামে কোনো নির্বাচনে প্যানেল দিতে পারেন না। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাহমুদুর রশিদ জানান, ফায়ারম্যান মাসুদ রানার মা মরিয়ম বেওয়া আগে সভাপতি ছিলেন। এবারের নির্বাচনে তিনি (মরিয়ম) বা তার ছেলে রানা প্রার্থী নন। প্রধান শিক্ষক দাবি করেন, তিনি মাসুদ রানার প্যানেল দেখেননি। তারা কারও পক্ষে নেই; যারা নির্বাচিত হবেন তাদের পক্ষেই কাজ করবেন।
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের লিডার বজলুর রশিদ জানান, ফায়ারম্যান মাসুদ রানা ছুটি না নিয়ে স্টেশনে অনুপস্থিত রয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স জয়পুরহাটের উপসহকারী পরিচালক খন্দকার সানাউল হক জানান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে প্যানেল দেয়া ফায়ারম্যানের কাজ নয়। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।