গোপালগঞ্জে সহপাঠীকে হত্যার দায়ে স্কুলছাত্র শাহ আলম সিকদারকে (১৪) শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ১০ বছর আটক রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সাজাপ্রাপ্ত শাহ আলম সিকদার গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার পুইশুর গ্রামের বাদশা সিকদারের ছেলে। সে একই উপজেলার রামদিয়া শ্রীকৃষ্ণ শশী কমল বিদ্যাপীঠের ৭ম শ্রেণির ছাত্র।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ১২ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টায় শাহ আলম সিকদার রামদিয়া বাজারের শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাসের ব্রাইট কোচিং সেন্টারে পড়তে যায়। বেঞ্চে বসা নিয়ে সহপাঠী বরকত উল্লাহ প্রিন্সের সঙ্গে তার ঝগড়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কোচিংয়ের শিক্ষকরা বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে মিটিয়ে দেন। সকাল ১০টার দিকে প্রিন্স শ্রীকৃষ্ণ শশী কমল বিদ্যাপীঠে এসে নিজের ক্লাস রুমে বসে। অপর সহপাঠী সজীব সিকদারকে দিয়ে শাহ আলম ক্লাসরুম থেকে তাকে ডেকে স্কুলের টয়লেটের কাছে নিয়ে পেটে ছুরি চালিয়ে হত্যা করে।
পরের দিন প্রিন্সের পিতা হানিফ মোল্লা ওরফে দুলু বাদি হয়ে শাহ আলম ও সজীবের নাম উল্লেখসহ আরো ৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে কাশিয়ানী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাশিয়ানী থানার এসআই শাহ জালাল গত বছরের ২৫ নভেম্বর আসামি শাহ আলম ও সজীবের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
গত রোববার (৪ নভেম্বর) দুপুরে গোপালগঞ্জ শিশু আদালতের বিচারক মো. কবির উদ্দিন প্রামাণিক এ রায় দেন। এ মামলার অপর আসামি সজিব সিকদারকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।