হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ৫ম শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত উজ্জ্বল মিয়াকে (২৬) আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রেমা-কালেঙ্গা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, জেলার চুনারুঘাট পৌর এলাকার নতুন বাজার (পীরের বাজার) এলাকায় একটি আশ্রয় কেন্দ্রে বসবাস করতো এক ব্যক্তি। তার কন্যা স্থানীয় হাজী ইয়াছির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। গেলো ২ মে স্কুলছাত্রীকে ঘরে রেখে তার বাব-মা হাওরে কৃষি কাজ করতে যায়। এ সুযোগে একই এলাকার মৃত শিশু মিয়ার ছেলে বখাটে উজ্জ্বল মিয়া (২৬) রাতে মেয়ের ঘরে প্রবেশ করে তাকে কৌশলে জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায়।
কিছুক্ষণের মধ্যে মেয়েটি ঘুমিয়ে পড়লে উজ্জ্বল মিয়া তাকে ধর্ষণ করে। এভাবে পরপর দুইদিন ধর্ষণের কারণে রক্তক্ষরণে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। পরে বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় কাউন্সিলর কাজল মিয়া সালিশের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকায় রফাদফা করেন। কিন্তু মেয়েটির চিকিৎসা না হওয়ায় সে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে।
গত বুধবার দুপুরে ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচির সংগঠক অন্নিকা দাশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার উদ্দেশ্যে সেখানে যান। এই খবর জানতে পেরে চুনারুঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। বুধবার রাতেই ধর্ষিত স্কুল ছাত্রীর বাব বাদী হয়ে ধর্ষক উজ্জ্বলকে প্রধান আসামি করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুনারুঘাট থানা পুলিশ রেমা কালেঙ্গা বন এলাকা থেকে তাকে আটক করে। চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজমিরুজ্জামান বলেন, ধর্ষক উজ্জ্বলের আত্মীয়-স্বজনদের সহযোগিতায় তাকে রেমা কালেঙ্গা বন এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে তাকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।