পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ৯ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আনিসুর রহমান (২২) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে আদাবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল আলীমের বাড়ি থেকে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগী ছাত্রী বাদী হয়ে ধর্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। শনিবার সকালে আনিসকে জেল হাজতে এবং ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাবনা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেফতার যুবক খানমরিচ ইউনিয়নের গোপাল পুর গ্রামের মুনছুর সর্দারের পুত্র।
নির্যাতিতার পরিবার ও ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত অনিসুর রহমান আদাবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ঘটনার দিন বেলা ১১টার দিকে ধর্ষকের আত্মীয় ও আদাবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল আলীমের বাড়িতে কৌশলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয় জনতা টের পেয়ে তাকে আটক করে বেঁধে রাখে। এরপর স্থানীয়ভাবে সারাদিন চলে দেন দরবার। দরবারে আপস মীমাংসা না হলে দুপুরের দিকে তাদের দু’জনকে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশে সোপর্দ করে। এরপর পুলিশ ধর্ষক ও নির্যাতিতাকে দীর্ঘ সময় ভাঙ্গুড়া থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে শুক্রবার রাতে নির্যাতিতা ঐ ছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে ধর্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। শনিবার সকালে ধর্ষককে পাবনা আদালতের মাধ্যমে জেল হাজাতে প্রেরণ এবং ভুক্তভোগী ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাবনা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
ঘটনার বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মো. নাজমুল হক বলেন, আসামির বিরুদ্ধে নির্যাতিতা নিজেই বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। ফলে আসামিকে শনিবার সকালে আদালতের মধ্যেমে জেল হাজাতে প্রেরণ ও ভিক্টিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাবনা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।